কলকাতা : ধীরে ধীরে গঙ্গাসাগরে (Ganga Sagar 2022) পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়ছে। এই মেলা সুপার স্প্রেডার হয়ে উঠবে না তো ? এই আশঙ্কা  বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকমহলের। এরই মধ্যে গঙ্গাসাগর পরিদর্শন করে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দিল হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি। সদস্যরা তাঁরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে সব বিধি মেনে মেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে কি না। এমন ভাবে সব ব্যবস্থাপনা আছে কি না, যাতে করে করোনা সংক্রমণ যতটা সম্ভব আটকানো যায়। 


সূত্রের খবর, মেলার পরিকাঠামো নিয়ে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি। এই পরিস্থিতিতে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই প্রশাসনিক তৎপরতা দেখা গিয়েছে। হাইকোর্টের রায় মেনে মেলা চালু রাখার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে হচ্ছে দফায় দফায় প্রশাসনিক বৈঠক। সূত্রের খবর, গতরাত থেকেই চলছে দফায় দফায় বৈঠক। 

আরও পড়ুন :


করোনার ভয়ঙ্কর বৃদ্ধির মাঝেই বিধাননগরে ঢাক বাজিয়ে, রণ-পা নিয়ে মিছিল তৃণমূল প্রার্থীর!


শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। করোনা-বিধি মানা হচ্ছে কিনা, সেবিষয়ে নজরদারির জন্য কমিটি তৈরি করে দিয়েছে আদালত। কমিটি যদি মনে করে, মেলায় নিয়ম লঙ্ঘন করা হচ্ছে, তা বন্ধ করতে হবে, তাহলে তারা রাজ্য সরকারকে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট দেবে। নতুন যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতে রয়েছেন হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ও ওয়েস্ট বেঙ্গল লিগাল সার্ভিসেস অথরিটির মেম্বার সেক্রেটারি রাজু মুখোপাধ্যায়।   


এরই মধ্য়ে, আজ সন্ধেয় গঙ্গারতির আয়োজন করা হয়েছে। কাল রাত থেকে শুরু হবে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। করোনা আবহে এবারও ই-স্নানে জোর দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় তত্পর প্রশাসন। নজরদারি চালাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। বিনা মাস্কে দেখলেই সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি, চলছে মাইকে প্রচার। কপিল মুনির আশ্রম, মেলা চত্বর মাঝেমধ্যেই স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। লকগেট তৈরি করে মন্দির চত্বরে প্রতিবারে ৫০ জন করে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। তবে মন্দিরের ভিতরে সাধু-সন্ন্যাসীদের অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। কথায় বলে, ‘সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার।’ কিন্তু করোনাকালে তৃতীয় ঢেউ যখন আছড়ে পড়েছে, তখন ভিড়ের এই ছবি দেখে আতঙ্কে শিউরে উঠছেন অনেকে!