ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : এদিক-ওদিক ছিটিয়ে ফল। ভেঙে পড়ে আছে দোকানের জিনিসপত্র। রাস্তাজুড়ে অটোর পার্টস। চিত্রটা যেন ধ্বংসাবশেষের। বুধবারের উত্তাল পরিস্থিতির পর আজও গড়িয়া (Garia) মোড়ে নেই চেনা ছন্দ। সাজানো গোছানো দোকানপাট , ফুটপাথের পাশে অটোর সহাবস্থান-সেই চিত্র নেই। চলছে বিক্ষোভ। আজও বন্ধ গড়িয়া-গোলপার্ক (Garia To Golpark) রুটে বন্ধ অটো চলাচল। আজও অটোস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ দেখায় অটোচালকরা। পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়।
গড়িয়া ৫ নম্বর বাসস্ট্যান্ড। ব্যস্ত এলাকা। রাস্তার দু’পাশে সারি সারি দোকান। পাশেই গড়িয়া-গোলপার্ক রুটের অটোস্ট্যান্ড। বুধবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এই গড়িয়া মোড় চত্বর। হকারের বসার জায়গা নিয়ে অশান্তির জের। গড়িয়ায় অটোচালক ও হকারদের সংঘর্ষ ওঠে চরমে! ভাঙচুর চালানো হয় বেশ কয়েকটি দোকানে! ভাঙা হয় কয়েকটি অটো। দু’পক্ষই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্য বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি।
আরও পড়ুন :
'মেলার পরিকাঠামো নিয়ে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি', রাজ্যকে রিপোর্ট
বুধবার অটো আর হকার ইউনিয়নের মধ্যে তুমুল সংঘৰ্ষে ভাঙচুর হয় অন্তত হাফ ডজন দোকানে! পাল্টা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় অটো! এখানে জায়গা নিয়ে অটোচালক ও হকারদের মধ্যে চাপানউতোর চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। এরই মধ্যে বুধবার দুপুরে তৃণমূলের এই শহিদ বেদির সামনে এক হকারের বসা নিয়ে শুরু হয় ঝামেলা। প্রথমে অটোচালকরা বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে। পাল্টা হকাররাও ৫টি অটোতে ভাঙচুর চালায়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নেতাজিনগর থানার পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত হয়। এরই মধ্যে কয়েকজনকে দেখা যায় হাতে লাঠি নিয়ে ঘুরে বেড়াতে। কিছুক্ষণ পরে লাঠি ফেলে দিয়ে তারা পুলিশের সামনে দিয়েই চলে যায়। এদিকে, অটোচালক ও হকারদের সংঘর্ষের ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং! স্থানীয় সূত্রের দাবি, বিবদমান দু’পক্ষই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র সদস্য। এই নিয়ে শাসকদলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি।