শিলিগুড়ি : অবশেষে জয় । কয়েক দশকের খরা কাটিয়ে, শিলিগুড়ি পুরসভায় ঘাসফুল ফুটল। শিলিগুড়ি পুরভোটে কার্যত ধসে গেল বিজেপি। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয় পেলেন গৌতম দেব। ৩ হাজারের বেশি ভোটে এল জয়। দলনেত্রী ঘোষণা করেও দিলেন শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের মেয়র হবেন গৌতমই।  আপ্লুত হয়ে গৌতমও বলে ফেললেন, দিদি আমার জীবনের ধ্রুবতারা । দিদির রোডম্যাপে এগিয়েই সাফল্য !  কী ভাবছেন তিনি, জয়ের পর প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন এবিপি আনন্দ-র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-কে । 



কী ভাবছেন শিলিগুড়ির উন্নয়ন নিয়ে ? হবু মেয়র জানালেন, শিলিগুড়িতে ট্যাক্সি চালু করে শহরের গতি বাড়ানো তাঁর অন্যতম লক্ষ্য। ভাবনায় রয়েছে পানীয় জলের বিষয়টিও। বললেন, বস্তিবাসীকে জমির অধিকার দেব, মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থা করব।  প্রাণবন্ত গতিশীল করে তোলা হবে শিলিগুড়ি শহরকে। ঢেলে সাজানো হবে জলনিকাশী ব্যবস্থা । নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এগোবে কর্পোরেশন। তাঁদের বক্তব্য শুনেই এগোব আমরা।


আরও পড়ুন :


ঝড়ের গতিতে এগচ্ছে তৃণমূল, দিকে দিকে উড়ছে সবুজ আবির, শুরু উৎসব


হেরে গিয়েছিলেন বিধানসভা ভোটে। সেখান থেকে রকেট সদৃশ উত্থান গৌতমের। 'বারবার শিলিগুড়িতে আশাপূরণ হচ্ছিল না, হীনমন্যতায় ভুগছিলাম। আগামী দিনে আরও নম্র বিনয়ী হয়ে  কাজ করব। ' জয়ের পর বললেন তিনি। 


নেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গৌতম দেব বলেন, 'দিদি বলেছিলেন , জয়যাত্রায় যাও হে। আমরা সেদিকেই এগোচ্ছি।  ... দিদির আশীর্বাদেই এগোচ্ছি, দিদি আমার জীবনে ধ্রুবতারা । ' আসানসোল, চন্দননগর বা বিধাননগর কোথাওই মেয়রের নাম ঘোষণা করেননি দলনেত্রী। কিন্তু গৌতমের নাম চূড়ান্ত। কেন? তিনি জানালেন, বরাবরই দিদির কাছে বাড়তি প্রশ্রয় পাই, সেই ছাত্র রাজনীতির সময় থেকেই। উনি আমার ফ্রেন্ড ফিলোজফার গাইড। ' 


শিলিগুড়ির পুরভোটে সকলের নজর ছিল সিপিএম-তৃণমূল-বিজেপির হেভিওয়েট ত্রয়ীর দিকে। সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য, তৃণমূলের গৌতম দেব এবং বিজেপির শঙ্কর ঘোষ। বিধানসভা ভোটে হেরে গেছিলেন, কিন্তু, পুরভোটে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সাড়ে তিন হাজারের বেশি ভোটে জিতলেন গৌতম দেব। প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রাক্তন মেয়র তথা সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অশোক ভট্টাচার্য ৫১০ ভোটে পরাজিত হলেন।