কলকাতা: কর্মসংস্থানে (Employment) কখনও ‘চপশিল্পে’র কথা শোনা গিয়েছে, কখনও আবার উৎসবের মরসুমে চা-মুড়ির স্টল দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এ বার চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলেনও জায়গা করে নিল, চপ, ঝালমুড়ি। প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে ধর্মতলায় (Kolkata News) চপ ভেজে, ঝালমুড়ি বানিয়ে রাজ্য়কে বার্তা দিলেন তাঁরা (Group D Jobs Protets)।
চপ ভেজে প্রতীকী প্রতিবাদ আন্দোলনকারীদের
ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ২০১৭ সালে রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। গত ৯১ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। বুধবার সকালে একদিকে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে উচ্চপ্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে যখন ধুন্ধুমার পরিস্থিতি, সেই সময় ধর্মতলায় প্রতীকী প্রতিবাদের পথে হাঁটলেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা।
কেন এমন পন্থা জানতে চাইলে, এক আন্দোলনকারী বলেন, “প্রতীকী আন্দোলনের মাধ্যমে নবান্নকে বার্তা দিতে চাই আমরা, যে, শিক্ষিত হয়ে চপ ভাজতে চাই না। হকের চাকরি ফেরত চাই।”
অন্য এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “এটি প্রতীকী প্রতিবাদ। মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভায় আয়ের উৎস বাতলে দিয়েছেন, চপ ভাজা। সত্যি কথা বলতে কী, প্রত্যেক পরিবারের কিছু স্বপ্ন থাকে। আমারাো স্বপ্ন দেখি। সেই স্বপ্নপূরণেই চাকরির পরীক্ষা দিই। এখানে সবাই স্নাতক, স্নাতকোত্তর। তার পরেও চপ শিল্পের কথায় বিবেক দংশনে ভুগছি। ভাবতে পারছি না যে, এমন মানদণ্ডে বেঁধে রাখা হবে।”
২০১৭ সালের রাজ্য সরকারের গ্রপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন তাঁরা। অপেক্ষমান তালিকায় নামও ছিল। কিন্তু পাঁচ বছর কেটে গেলেও সেই তালিকার কেউ এখনও নিয়োগ পাননি। তাঁদের দাবি, গ্রুপ ডি নিয়োগেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। বঞ্চিত করা হয়েছে তাঁদের।
গ্রুপ ডি-তেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের
দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ২০১৭ সালে প্রায় ২৫ লক্ষ ছেলেমেয়ে পরীক্ষা দেন। এর মধ্যে ১৯ হাজার পাশ করেন। ডাক পান ইন্টারভিউয়ে। কিন্তু পাশ করার পরও আজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাঁরা। অথচ অযোগ্যরা সরকারি দফতরে চাকরি করছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তাই চপ ভেজে, ঝালমুড়ি বানিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদের রাস্তা ধরেছেন।