কলকাতা: হরিদেবপুরে যুবক খুনের ঘটনায় ধুন্ধুমার। খুনের ঘটনায় যে বান্ধবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ। তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালালেন উত্তেজিত পড়শিরা। শুক্রবার দেহের খোঁজ মেলার পরেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এদিন রাতেই বান্ধবীর বাড়িতে চড়াও হন এলাকাবাসী। চলে দেদার ভাঙচুর। বাড়ির ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কী অভিযোগ:
নিহতের নাম অয়ন মণ্ডল। পেশায় অ্যাপ নির্ভর বাইক চালক ছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, বুধবার দশমীতে বাড়ির কাছেই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারছিলেন অয়ন। তারপর কাছেই বান্ধবীর বাড়িতে যান তিনি। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। ছেলে ফিরে না আসায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে হরিদেবপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। একদিন পেরিয়ে গেলেও ছেলের হদিশ না মেলায়, শুক্রবার লালবাজারে যান মৃতের বাড়ির লোকজন। তারপর সেখান থেকে জানানো হয়, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মগরাহাটে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের লোক নিশ্চিত করেন, উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ তাঁদের বাড়ির ছেলেরই।
এই ঘটনায় মগরাহাট থেকে একটি সূত্র পাওয়া যায়। সেই কারণেই মগরাহাটের উদ্দেশে যায় পুলিশ। নিখোঁজ যুবকের পরিবারকে নিয়ে মগরাহাটে যায় পুলিশ। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে অয়ন মণ্ডলের দেহ। অন্যদিকে বান্ধবীর পরিবারকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। মৃত অয়ন মণ্ডলের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে সূত্রের খবর। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ছেলেটার বাড়ির উল্টোদিকে দুর্গা পুজো হচ্ছিল। সেখানেই ছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁকে তাঁর বান্ধবী ডাকে। সেখানে তিনি যান। তারপরে আর তাঁর খোঁজ মিলছিল না। পরের দিন তাঁর বান্ধবী তাঁদের বাড়িতে অয়নের খোঁজ নিতে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন অয়নের মা। তিনি আরও বলেন, 'বান্ধবীর মা ডেকেছিল আমার ছেলেকে। ওরা মেরেছে। মেয়েটার মা আমার ছেলেকে ধরে মেরেছে। থানা থেকে কিছু হয়নি। ওরা বলল মেয়েটার বাড়িতে আপনারা যাাবেন না। পুলিশ আসেনি। কোনও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। দশমীর দিন ফোন করেছি, ফোন রিং হয়েছে। কেউ তোলেনি।'
দশমীর রাত থেকে নিখোঁজ:
দশমীর রাতে বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে আর ফেরেননি। মৃতদেহ উদ্ধার হল বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে। যুবক খুনে গ্রেফতার করা হল তাঁরই বান্ধবীকে! এরইসঙ্গে পুলিশের জালে খুনে অভিযুক্ত বান্ধবীর মা ও বান্ধবীর ভাইও। যুবক খুনের ঘটনায় ধুন্ধুমারকাণ্ড খাস কলকাতার বুকে। ২১ বছরের তরতাজা যুবকের খুনের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন প্রতিবেশীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে থানায় বিক্ষোভ দেখালেন মৃতের পরিজনরা। রাস্তা অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ।