সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: জনপ্রিয় কচুরির দোকান। প্রতিদিন ওই কচুরি কিনতে ভিড় হয় দোকানে। কিন্তু, মঙ্গলবার সকালে সেই কচুরি দোকানেই ধুন্ধুমার, মারপিট, ভাঙচুর। অভিযোগ কচুরি না পেয়েই নাকি এমন তাণ্ডব। আর সেই গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেই ফুটেজ দেখিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন দোকান মালিক। ঘটনার তদন্তে নেমেছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ।  


তুমুল তাণ্ডব: 
যত কান্ড কচুরি নিয়ে!কচুরি না পেয়ে,মিষ্টির দোকানে চড়াও হয়ে মারধোর ও ভাঙচুরের অভিযোগ,সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ছবি,অভিযুক্তের পাশে দাঁড়িয়ে এলাকার বাসিন্দাদের দাবী মিস্টির দোকানের কর্মচারীদের ব্যবহার খারাপ। বচসা ও মারধোরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে পুলিশে অভিযোগ দোকান মালিকের।ঘটনার তদন্তে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। হুগলি ঘাট স্টেশন এলাকার শতাব্দী প্রাচীন মিস্টির দোকান। গতকাল দশটা নাগাদ দোকানে কচুরি কিনতে যান এলাকারই এক ব্যবসায়ী। সেই সময় কচুরির দোকানে ভিড় জমে গিয়েছে। কারণ, সেইদিনই সেই দোকানে ১৬০টি কচুরির অর্ডার দিয়েছিল স্থানীয় বারোদুয়ারি পুজো কমিটি। ওই দিন পুজো কমিটির শোভাযাত্রাও ছিল। অত বড় অর্ডারের কারণে অন্য খদ্দেররা এসে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময়েই কচুরি কিনতে এসেছিলেন মুরগির মাংস বিক্রেতা শেখ জাফরের দাদা। তখন তাঁকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। অভিযোগ, পরে বলা হয় কচুরি থাকলেও ডাল শেষ হয়ে গিয়েছে। দোকানের কর্মচারী এটি বলার পরে শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, সেই সময় জাফর গিয়ে কচুরির দোকানে চড়াও হয়। বচসার সময় দোকানের মালিক তপন দাসকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দোকানের একটি শোকেসও ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা জাফরের অভিযোগ, দোকানের শোকেসে কাচ লেগে তাঁর হাত কেটে গিয়েছে। বাঁ হাতে ১৩টি সেলাই করা হয়েছে। তাঁর দাবি, তিনি মারধর করেননি, শোকেসও ভাঙেননি। বচসার সময় ধাক্কাধাক্কিতে শোকেসের উপর পড়ে যাওয়ায় শোকেস ভেঙে হাত কেটে যায় তাঁর।


দোকান মালিকের অভিযোগ:
দোকানের মালিক তপন দাসের অভিযোগ, 'কচুরির জন্য অপেক্ষা করতে বলায় দোকানে চড়াও হয়ে মারধর করে।পুলিশকে ফোন করে ঘটনার কথা জানাই, পুলিশ এলে সিসিটিভি ফুটেজও দেখানো হয়।' যদিও স্থানীয় ব্যবসায়ী-বাসিন্দাদের একটি অংশ দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে বাজে ব্যবহারের অভিযোগ করেছে। পাল্টা তপনের দাবি, হিংসে থেকেই এমন অভিযোগ করা হচ্ছে।
 
আরও পড়ুন: রাস্তায় দীর্ঘ যানজট, রোগীর প্রাণ বাঁচাতে ৩কিমি দৌড়ে হাসপাতাল পৌঁছলেন চিকিৎসক