বাঁশবেড়িয়া: হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন বাঁশবেড়িয়া। পথে হুগলির বিজেপি (BJP) সাংসদ পথে লকেট চট্টোপাধ্য়ায়কে (Locket Chatterjee) আটকাল পুলিশ। বিজেপি সাংসদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাধল। পুলিশ জানিয়েছে, অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় আটকানো হয়েছে লকেটকে। এর আগে রিষড়া যাওয়ার পথেও, রিষড়া স্টেশনে আটকানো হয়েছিল লকেটকে (Hooghly News)।
বাঁশবেড়িয়ায় হনুমান জয়ন্তীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন লকেট
রামনবমীর অনুষ্ঠান ঘিরে অশান্তির পর হনুমান জয়ন্তী নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। সেই আবহেই বৃহস্পতিবার বাঁশবেড়িয়ায় হনুমান জয়ন্তীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন লকেট। সপ্তগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত বাঁশবেড়িয়ার ফলবাজারে হনুমান জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে শোভাযাত্রাও বেরনোর কথা ছিল।
কিন্তু প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে, বাঁশবেড়িয়া বড় পাড়ার মোড়ে লকেটের গাড়ি আটকায় হুগলি জেলার গ্রামীণ পুলিশ। বাইরে থেকে কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ রয়েছে। এতে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয়। লকেট যুক্তি দেন, তিনি বহিরাগত নন। হুগলি জেলার সাংসদ তিনি। প্রতি বছরই যান, পুজো দেন।
গাড়ি থেকে বেশ কিছু কাগজপত্রও বার করে পুলিশকে দেখান লকেট। তাতেও পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি পাননি তিনি। সেই নিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ দু'পক্ষের মধ্যে চলে বাদানুবাদ। তার পরও পিছু হটেননি লকেট। ওই এলাকাতেই এই মুহূর্তে অবস্থান করছেন তিনি। পুলিশের আধিকারিকরা উপস্থিত রয়েছেন ঘটনাস্থলে। অশান্তির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
হাইকোর্টের নির্দেশে কলকাতা, ব্যারাকপুর এবং হুগলিতে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে এক কোম্পানি রয়েছে কলকাতায়। মধ্য কলকাতা ও উত্তর কলকাতার বেশ কয়েকটি থানা এলাকায় এই এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সেকশনে আট জন করে CRPF জওয়ান রয়েছেন।
হাইকোর্টের নির্দেশে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন
পোস্তা থানা এলাকায় ২ নম্বর সেকশন, চারু মার্কেট, হেস্টিংস, একবালপুর, গার্ডেনরিচ, জোড়াবাগান এবং আমর্হাস্ট থানা এলাকায় ১ সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আজ সারাদিন ধরেই কলকাতা, ব্যারাকপুর ও হুগলিতে চলবে আধা সেনার রুট মার্চ। গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি পদমর্যাদার অফিসাররা।