সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : হুগলির (Hooghly) সাহাগঞ্জে সাইকেল চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। ডানলপ (Dunlop) কারখানার আবাসন থেকে উদ্ধার হল হাঁটু মোড়া অবস্থায় হাত বাঁধা দেহ। খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। মূল অভিযুক্ত পলাতক। 


সন্দেহের বশে গেল প্রাণ


কারও কাছে কোনও প্রমাণ ছিল না, ছিল শুধু সন্দেহ। সেই সন্দেহের জেরেই গণপ্রহারে (Mob Lynching) প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। লাঠি দিয়ে বাড়ির পর বাড়ি মেরেও আশ মেটেনি। রাতভর এভাবে হাঁটু মোড়া অবস্থায়, হাত বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছিল মাঠের মধ্যে। সাইকেল চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল হুগলির সাহাগঞ্জে (Sahagung)। 


শনিবার সকালে ডানলপ কারখানার আবাসনের ভিতর এভাবেই বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তির হাঁটু মোড়া ও হাত বাঁধা দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়দের দাবি, প্রতিবেশীর সাইকেল (Cycle) চুরি করার সন্দেহে ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। বেধড়ক মারধরের পর, হাত-বাঁধা অবস্থায় মাঠেই ফেলে রেখে চলে যায় অভিযুক্তরা। অসহায় মৃতের ছেলের বক্তব্য, 'সাইকেল চুরির কারণে বাবাকে মেরেছে। ভেবেছে বাবাকে ছেড়ে দিয়েছে। সকালে বন্ধু ফোনে বলল বাবা মরে পড়ে আছে। বেঁধে রেখে দিয়েছিল। যে আসছে সেই মারছে।'


স্থানীয় সূত্রে কী খবর


স্থানীয় সূত্রে খবর, একসময় বাঁশবেড়িয়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করতেন ওই ব্যক্তি। একসময় বাঁশবেড়িয়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। মূল অভিযুক্ত ধীরজ সিং-ও বাঁশবেড়িয়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। অস্থায়ী পুর কর্মী ধীরজ-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক। 


আরও পড়ুন- 'পাড়ায় পাড়ায় শুধু মদের, লটারির দোকান', তৃণমূল মানে চোর, আক্রমণ শুভেন্দুর


চলতি বছরের শুরুতেই চোর সন্দেহে হাওড়ার (Howrah) গদাইপুর গ্রামে এক দুষ্কৃতীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। সেবার গভীর রাতে ৩ দুষ্কৃতী মাফুজা বেগম নামে এক মহিলার বাড়িতে হানা দিয়েছিল। বাড়ির বাসিন্দাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসেছিলেন। ২ জন পালিয়ে গেলেও একজন ধরা পড়ে যায়। তারপরই শুরু হয়েছিল হাত-পা বেঁধে গণপ্রহার। বেধড়ক মারধরের ফলে ওই দুষ্কৃতী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উলবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন।


আরও পড়ুন: Lifestyle: শুধু বাইরে নয়, ঘরেও দরকার সান স্ক্রিন, মানেন অনেকেই