সোমনাথ মিত্র, হুগলি: রাষ্ট্রায়ত্ত ব‍্যাঙ্কের নামে গ্ৰাহক সেবা কেন্দ্র খুলে অ্যাক‍্যাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার (Fraud Case) অভিযোগ। ঘটনা গুরাপ থানার খানপুর এলাকার একটি গ্ৰাহক পরিষেবা কেন্দ্রের। কাঠগড়ায় মালিক ও ২ কর্মী। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে গতকাল রাতে সৌমেন বাগুই নামে গ্ৰাহক সেবা কেন্দ্রের এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি ছাড়াও ওই গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের মালিক সজল কুমার দেওয়ান এবং আরও এক কর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হুগলি জেলা গ্ৰামীণ পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, বাকি দুজনের বিরুদ্ধে তথ‍্য প্রমাণ সংগ্ৰহের কাজ চলছে। উপযুক্ত তথ‍্য প্রমাণ হাতে এলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।


গুরাপ থানার চেরাগ্ৰামের বাসিন্দা শেখ বদরে আলম কয়াল জানান, ওই অ্যাকাউন্টে কৃষক বন্ধু, একশো দিনের কাজের টাকা ঢোকে। কিন্তু হঠাৎ ফ্রেরুয়ারি মাসে জানতে পারেন  কিয়োসটি বন্ধ হয়ে যায়। ফোনে তিনি জানতে পারেন, অডিট চলছে বলে বন্ধ আছে। ওই ব্যক্তির কথায়, “পরে কালনা শাখায় গিয়ে জানতে পারি আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা উধাও। তারপর থানায় অভিযোগ দায়ের করি।‘’


আরও পড়ুন: West Midnapore: পরীক্ষার ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ, রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের


অন‍্য এক প্রতারিত গ্ৰাহকের স্ত্রী মাম্পি রায় বলেন, “স্বামী পঞ্জাব থেকে ৪ লক্ষ টাকা পাঠায় । ১ লক্ষ টাকা তোলা হলেও বাকি ৩ লক্ষ টাকা তোলা হয়নি। এখানকার কিয়োস বন্ধ থাকায় অন‍্য জায়গা থেকে পাশ বই আপডেট করে দেখি ৩ লক্ষ টাকা কিয়োসের মালিক সজল কুমার দেওয়ান নিজের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে নিয়েছে। আমার মতো এরকম একশো জনেরও বেশি গ্রাহক প্রতারণার শিকার হয়েছেন।’’  


প্রতারিত এক গ্রাহকের আইনজীবি শেখ সাহিদ হোসেন বলেন, “আমার মক্কেলের পাশ বইতে দেখা যাচ্ছে গ্ৰাহকদের টাকা অভিযুক্তরা নিজের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছে। থানায় অভিযোগ করার পর এফআইআর দায়ের করা হয়। তাতে অভিযুক্তদের মধ‍্যে একজনকে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে একাধিক গ্ৰাহকের থেকে প্রায় ১ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।’’


আরও পড়ুন: Dakshin Dinajpur: রেশন তুলতে গিয়ে মাথায় ভাঙল শেড, আহত ৮ গ্রাহক