সমীরণ পাল, বারাসাত: উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে খুনের অভিযোগ। অভিযুক্ত গৃববধূ ও তাঁর প্রেমিককে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে, কবর থেকে মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাল পুলিশ।
ফের মনুয়াকাণ্ডের ছায়া উত্তর ২৪ পরগনায়। প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে খুনের অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড শুনেই কিনারা হল রহস্যের। গ্রেফতার অভিযুক্ত গৃহবধূ ও তাঁর প্রেমিক। আর এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে গাইঘাটার সুবিদপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: Digha: জোয়ার শুরু হতেই দিঘায় গার্ডওয়াল টপকে ঢুকছে সমুদ্রের জল
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার মৃত্যু হয় আমিনুরের।এর ৩ দিন পরে একটি মোবাইল ফোনের হদিশ মেলে।পরিবারের দাবি, মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড শুনে জানা যায়, আমিনুরের স্ত্রীর সঙ্গে পাশের গ্রামের এক ব্যক্তির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এরপরই মৃতের পরিবার অভিযোগ তোলে, প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে খুন করেছেন স্ত্রী।এদিকে, খুনের অভিযোগ ওঠায় বুধবার কবর থেকে মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। এদিকে, অভিযুক্ত গৃববধূ ও তাঁর প্রেমিককে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এর আগে চলতি বছর জুলাই মাসে ৬০ বছরের স্বামীকে খুনের অভিযোগ স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। বিষ খাইয়ে ও মাথায় আঘাত করে খুনের অভিযোগ। ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুনের কথা স্বীকার করে নেন স্ত্রী। গোপালনগর থানার মোল্লাহাটি শিকারিপারা এলাকার ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী আল্পনা সর্দার ও তাঁর প্রেমিক মধু হালদার। ঘরের মধ্যে থেকে প্রফুল্ল মিস্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল৷ ঘটনার পর থেকে থেকে পলাতক ছিল অভিযুক্তরা। এরপর তাদের গোপালনগর থানার নহাটা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মৃত প্রফুল্লর পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রফুল্ল দ্বিতীয় স্ত্রী আল্পনা। অভিযোগ আলপনার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মধু হালদারের৷ প্রফুল্ল তার প্রতিবাদ করত। পথের কাঁটা সরিয়ে দিতে আল্পনা ও মধু প্রফুল্লকে খুন করেছে বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের।
আরও পড়ুন: Birbhum: রামপুরহাটে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু কিশোরের, আহত ২