সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভদ্রেশ্বর(হুগলি) : ভিডিও শ্যুট করতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক কিশোরের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির ভদ্রেশ্বর স্টেশনের কাছে। মৃতের নাম ধীরাজ পটেল (১৬)। সে ভদ্রেশ্বর ঝুপড়ির বাসিন্দা।
গতকাল দশমীর বিকালে তিন জনে মিলে রেললাইনের ধারে গিয়ে ফটোশ্যুট করছিল। সেই সময় মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে। ভদ্রেশ্বর কেবিনের কাছে এক কিশোরকে এদিক ওদিক করে ছবি তুলছিল অপর এক জন। তার পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিল ধীরাজ। আপ তিন নম্বর লাইনে ব্যান্ডেলগামী একটি লোকাল ট্রেন সজোরে হর্ন বাজিয়ে সেই সময় সেখান দিয়ে পাশ করছিল। হর্ন বাজালেও তা শুনতে পায়নি ব্যস্ত ওই কিশোর। এরপর ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে রেললাইনের পাশে পাথরের ওপর পড়ে ধীরাজ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
মর্মান্তিক এই ঘটনার ভিডিও সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। বন্ধুদের মোবাইল ক্যামেরায় ধরা পড়েছে দুর্ঘটনার মুহূর্তের ছবি। খবর পেয়ে শেওড়াফুলি জিআরপি মৃতদেহ উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায়। শেওড়াফুলি জিআরপি সূত্রে জানা গেছে, মাঝে মধ্যে তারা ভিডিও বানাত। গতকাল সেই ভিডিও বানতে গিয়েই সম্ভবত এই দুর্ঘটনা ঘটে। বন্ধুদের কাছ থেকে একটি মোবাইল আটক করেছে জিআরপি। ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে, তদন্তে নেমেছে শেওড়াফুলি জিআরপি।
আরও পড়ুন ; কানে হেডফোন নিয়ে রেললাইনে, ট্রেনের ধাক্কায় মর্মান্তিক মৃত্যু দুই তরুণের
প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে একই রকম ঘটনা ঘটে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। রেললাইনের ওপর বসে হেডফোনে কথা বলছিলেন দুই যুবক। একই সময়ে আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলে আসার বিষয় আগেভাগে টের না পাওয়ায় সরে যেতে পারেননি। তারই বলি হন দুই যুবক। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ধুমডাঙ্গি স্টেশনের রেলপুলিশ আধিকারিকরা। রেললাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল দুই যুবকের দেহাংশ। পড়েছিল জুতো, মোবাইল, হেডফোন সহ মোবাইলের অন্যান্য সরঞ্জাম। রেলের তরফে বারবার প্রচার সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ যে সচেতন নন, এই ঘটনায় আবারও তা প্রমাণ হয়।