সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি:  ফের পুলিশের সঙ্গে গাড়িচালকের ঝামেলা। পুলিশের বিরুদ্ধে তোলা না পেয়ে গাড়ি চালককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। পাল্টা সিগন্যাল ভাঙার জন্য গাড়ি আটকানোয় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগও উঠল।


জখম চালক:
ঘটনায় জখম হয়েছেন গাড়ি চালক আনিস খান। তিনি হরিয়ানার বাসিন্দা। তাঁকে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে প্রায় দুই ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়েছে।


কোথায় রয়েছে?
ডানকুনি টোল প্লাজার কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশি জুলুমের অভিযোগ উঠেছে। গাড়ি চালকদের দাবি তাঁদের গাড়ি আটকে টাকা চাওয়া হয়। টাকা না দিলে কেস দেওয়া হয়। মূলত ভিনরাজ্যের গাড়ি হলে পুলিশ ঝামেলা এড়াতে টাকা দিয়ে দিতে বাধ্য হয় বলে দাবি। শুক্রবার ভোরে হরিয়ানার একটি লরি ধান ঝাড়ার মেশিন নিয়ে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। সেই লরি আটকে পুলিশ টাকা চায় বলে অভিযোগ। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ওই চালককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা দেখে তীব্র প্রতিবাদ শুরু করে অন্য গাড়িচালকরা। তাঁরা রাস্তা অবরোধ শুরু করে। ঝামেলার খবর পেয়ে ডানকুনি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। তীব্র যানজট তৈরি হয় জাতীয় সড়কে।


পুলিশের দাবি:
সিগন্যাল ভেঙেছিল লরিটি। সেই সময় গাড়িটি আটকাতে গেলে চালক পালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ডানকুনি থানা এলাকা চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার মধ্যে হলেও দুর্গাপুর রোডে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ। এই ঘটনায় হুগলি (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার জানান,সিগন্যাল ভাঙায় একটি গাড়িকে আটকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক। গাড়ি রাস্তায় মাঝে দাঁড় করিয়ে দেয় চালক। সেই গাড়িতে আরও তিনজন ছিল। গাড়ির কাগজ দেখতে চাইলে তারা ট্রাফিক হোমগার্ডের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তখন খবর পেয়ে সেখানে অন্য অফিসাররা পৌঁছন। তা দেখেই তিনজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তখন অন্য গাড়ির চালককে দিয়ে লরি সরানো হয়। ডানকুনি টোলপ্লাজার কাছে গাইড থাকে। যাঁরা ভিনরাজ্যের লরিকে কলকাতায় নিয়ে যায়।


আরও পড়ুন: ৪২ ঘণ্টার লড়াই এখন অতীত, নববর্ষে বাড়ি ফিরল ছেলে