সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: দশ লক্ষ টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে,আরও চাহিদা পূরণ করতে না পারায় গৃহবধূর মৃত্যু চন্দননগরে (Chandan Nagar)। মৃত ওই বধূর নাম প্রীতি সিং। বয়েস হয়েছিল ২১ বছর।মৃতার দাদা অতুল সিংয়ের অভিযোগ, 'পণের দাবি মেটাতে না পারায়, তার বোনকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।'
বিবাহের সময় পণের যাবতীয় দাবি মেটানো হয়, তারপরেও..
পরিবার ও পুলিস সূত্রে খবর, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বিয়ে হয় উত্তর ২৪ পরগণার নৈহাটি জুটমিল রোড হাজিনগর হালিশহরের বাসিন্দা প্রীতি সিংয়ের।চন্দননগর সুরের পুকুর গুইবাগানের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় সিং- এর সঙ্গে।বিবাহের সময় নগদ আট লক্ষ টাকা ও দুই লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে মোট দশ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসাবে দেওয়া হয়।এছাড়াও দাবি মত গহনাও দেওয়া হয়।
'পণের দাবি মেটাতে না পারায়, মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে'
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে আরও যৌতুক দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হত। তা নিয়ে অশান্তি হত। ওই গৃহবধূকে তাঁর শ্বশুর বাড়িতে মানসিক নির্যাতন করা হত। তা নিয়ে থানা পুলিশ হয়েছিল।গতকাল শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ প্রীতির স্বামী ফোন করে শ্বশুর বাড়িতে খবর দেয়, নিজের ঘরে ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়েছে তাঁর স্ত্রী।বিহারে এক আত্মীয়র মৃত্যুতে সেখানে বধুর পরিবার চলে যায়।দাদা অতুল বাড়িতে ছিলেন। তিনি আজ চন্দননগর থানায় এসে অভিযোগ জানান। পুলিশ বধূর স্বামীকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন, রচনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ মমতা, বললেন 'সবাই কি দুষ্টু হয়, মিষ্টিও অনেক আছে..'
মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল শিলিগুড়ি
শীতকাল তখন। গতবছরের শেষে এমন আরও এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল শিলিগুড়ি। সেবার পণ না পেয়ে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছিল। প্রেমের টানেই একসময় ঘর ছেড়েছিলেন। পাশে পাননি পরিবারকে। চাউমিন ফ্য়াক্টরিতে কর্মরত ছিলেন তাঁর স্বামী। রায়গঞ্জের যুবকের প্রেমে পড়ে সাত পাকে বাধা পড়েন মাটিগড়ার প্রিয়ঙ্কা। তিনি তখনও জানতেন না, সামনে কী ভয়াবহ ভবিষ্যত কড়া নাড়ছে। প্রায় নিত্যদিন পণের দাবিতে তাঁকে চাপ দেওয়া হত। চলত অত্যাচার। তারপর একদিন সব সীমা পার করে, পণের লোভে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করতেও তিনি বাকি রাখেননি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।