প্রকাশ সিনহা ও সুনীত হালদার, কলকাতা: হুগলির গুড়াপ স্টেশনে চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন। যার জেরে যাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। পরে রেলের কর্মীরাই নিয়ন্ত্রণে আনেন আগুন। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগুন লাগতে পারে।
গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটে চলেছে ট্রেন। হঠাৎই বিপত্তি। ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে গলগল করে বেরোচ্ছে ধোঁয়া! যা ছড়িয়ে পড়ে পাশের কামরাতেও। বিপদ বুঝে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দিলেন চালক। চারপাশে কালো ধোঁয়া দেখে আতঙ্কে ট্রেন থেকে হুড়মুড়িয়ে নেমে পড়েন বহু যাত্রীও।
সময় তখন সকাল ৬টা বাজে-বাজে। ডাউন রাজেন্দ্রনগর-হাওড়া এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে অগ্নিকাণ্ডের জেরে তখন রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে হুগলির গুড়াপ স্টেশনে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন রেলকর্মীরাও। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরাই। এরপর ইঞ্জিন বদল করে আধঘণ্টা পর ফের হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেয় ডাউন রাজেন্দ্রনগর-হাওড়া এক্সপ্রেস। এরপর হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন সকলে। এবিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, ট্রেনের ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগুন লাগতে পারে। তবে কী কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটল তা তদন্ত করে দেখা হবে।
আরও পড়ুন, গরুদের জন্য বিনামূল্যে ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেবে উত্তরপ্রদেশ, খোলা হচ্ছে কল সেন্টার
এদিকে, দমদমে (Dumdum) স্থায়ী ভাবে ম্যানহোল (Manhole) মেরামত করল পূর্ত দফতর (PWD)। ঢেকে দেওয়া হয়েছে ঘাতক ম্যানহোলটি। শুক্রবার রাতে ওই ম্যান হোলে পড়েই মৃত্যু হয় অটোচালক (Auto Driver) রঞ্জন সাহার (Ranjan Saha)।
দমদমে খোলা ম্যানহোলে পড়ে, মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। মৃত রঞ্জন সাহা পেশায় অটোচালক ছিলেন। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বেদিয়াপাড়ায় থাকতেন তিনি। শুক্রবার রাতে মালিকের বাড়িতে অটো রেখে ফিরছিলেন রঞ্জন। পরিবারের দাবি, ফুটপাথ ধরে হেঁটে আসার সময়, সেভেন ট্যাঙ্কসের কাছে, ফুটপাথে খোলা ম্যানহোলে পড়ে যান তিনি। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (R G Kar Medical College) নিয়ে গেলে, সেখানেই মৃত্যু হয় ৫১ বছরের রঞ্জন সাহার।