কলকাতা: কসবার (Kasba) স্কুলে পড়ুয়ার মৃ্ত্য়ুর ঘটনায় চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার আগে সিলভার পয়েন্ট স্কুলের ঘটনাস্থল ঘুরে দেখলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। বুধবার সকালে প্রথমে কসবা থানায় যান তাঁরা। সেখান থেকে তাঁদের কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুলে নিয়ে যায় পুলিশ।


কীভাবে মৃত্যু পড়ুয়ার? 


খুন না আত্মহত্য়া? চাপা অভিমানেই কি নিজেকে শেষ করল দশম শ্রেণির পড়ুয়া? নাকি ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ? কসবার সকুলে ছাত্রের মৃত্য়ুর কারণ ঘিরে এখনও ধোঁয়াশা।  মৃত্য়ু কীভাবে হয়েছে? উত্তর হাতড়াচ্ছে পুলিশ। সূত্রের খবর, উপর থেকে পড়ার কারণে মৃত পড়ুয়ার শরীরের ডান চোয়ালের হাড়, পাঁজরের হাড়, ডান পায়ের পাতার হাড় এবং ডান দিকের কোমরের হাড় ভেঙেছে। কীভাবে ওই ছাত্র পড়ে গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখতেই ঘটনাস্থলে যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। সূত্রের খবর, পরিদর্শনের পর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেবেন তাঁরা। এদিকে, মৃতের এক সহপাঠী জানিয়েছে, ঘটনার দিন ষষ্ঠ পিরিয়ডে অঙ্কের ক্লাস ছিল। প্রজেক্ট অসমপূর্ণ থাকায় মৃত পড়ুয়াকে বকাবকি করেন শিক্ষিকা। ক্লাসের বাইরে দাঁড় করিয়ে দেন। পরে ক্লাস টিচারের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য় উপরে নিয়ে যান। অন্য়দিকে, পুলিশ তাঁদের আশ্বস্ত করেছে বলে জানিয়েছেন মৃত শেখ শানের বাবা। পুলিশের আশ্বাসে তাঁরা আশ্বস্ত বলেও জানিয়েছেন তিনি।


এই ঘটনা ঘিরে মঙ্গলবার রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কসবা। ছাত্রমৃত্য়ুর প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে স্থানীয়দের বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়ে রাস্তায়। পাঁচিল টপকে থানায় ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। দেহ নিয়ে আত্মীয় ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সঙ্গেও তাদের ধস্তাধস্তি বাধে। রেলিং টপকে কসবা থানার মধ্যে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা।

পরিবারের তরফে আগেই দাবি করা হয়েছ, পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায় ওপর থেকে ঝাঁপ দিয়েছে দশম শ্রেণির পড়ুয়া মৃতের পরিবারের আরও দাবি, প্রজেক্ট জমা দিতে না পারায় সহপাঠীদের সামনে কান ধরে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় শেখ শানকে। অন্য আরেকজন পড়ুয়ার সঙ্গে তাঁকে ৫ তলায় নিয়ে যান শিক্ষিকারা। সহপাঠীকে নেমে যেতে বলা হলেও নামতে দেওয়া হয়নি শানকে। সূত্রের খবর, পুলিশকে ইমেল করে সকুল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, শেখ শানকে অঙ্কের প্রজেক্ট জমা দিতে বলা হয়। তার জন্য মৃত ছাত্র খারাপ ব্য়বহার করে। এরপর তাকে স্টাফরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ২ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখার পর ক্লাসে যেতে বলা হলেও সে যায়নি।একইসঙ্গে সকুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মৃত ছাত্রের বাবা চাঞ্চল্য়কর অভিযোগও এনেছেন।


আরও পড়ুন: North 24 Parganas: 'ভাটার সময় তোলা হয় বালি,' ফের অবৈধ কারবার শুরু গঙ্গার ঘাটে