সুনীত হালদার, হাওড়া:বর্ষার মরসুমে ফের পুরনো আতঙ্ক। ফের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল এক কিশোরের। হাওড়ার শিবপুরের কয়লা ডিপো এলাকার ঘটনা। বছর পনেরোর ওই মৃত কিশোরের নাম রাজকুমার রাম।


বৃহস্পতিবার সকালেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ রাজকুমার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়েছিল। স্নান সেরে ঘরে ফিরছিল সে। সূত্রের খবর, ফেরার পথেই বাড়ির কিছুটা আগে একটি টিনের টুকরো পরে থাকতে দেখে সে। একটি খাটালের সামনে বড়সড় আকারের একটি টিনের টুকরো পড়েছিল। সেটা দেখে বাড়ি আনার জন্য মাথায় করে নেয় সে। ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি মৃত্যু ওত পেতে হয়েছে। টিনের টুকরোটি মাথায় করে আনার সময় কাছেই একটি জায়গায় ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক তারে টিনের টুকরো আটকে যায়। তৎক্ষণাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে ছিটকে পড়ে যায় সে। দৌড়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কয়েকজন এসে বাঁশ দিয়ে তাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে ওই এলাকায় আসে পুলিশও। ততক্ষণে স্থানীয় বাসিন্দারাই ওই কিশোরকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।


ইতিউতি বিদ্যুতের তার ঝুলে থাকার ঘটনা নতুন নয়। ওই তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও নতুন নয়। রাজ্যের নানা কোণায় বারবার এই ঘটনা দেখা যায়। কিন্তু তারপরেও সচেতনতা দেখা যায় না। বর্ষাকালে খোলা বা অসুরক্ষিত বিদ্যুতের তার থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা বারবার ঘটছে। ঝরে যাচ্ছে প্রাণও। 


এই বছরেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর একাধিক ঘটনা ঘটেছে নানা জেলায়। কদিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনায় গাছের ডাল সোজা করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল বাবা ও ছেলের। মে মাসে কলকাতা শহরে জামাইকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মা ও মেয়ের। ওই দিনই বীরভূমের সদাইপুরেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ২ জনের। গত বছর অক্টোবরে শিবপুরেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক ছাত্রের। ফুটবল খেলার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। মাঠে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তার পায়ে জড়িয়ে ওই ঘটনা ঘটেছিল।

আরও পড়ুন:অস্ত্র আইনে গ্রেফতার নন্দীগ্রামের BJP মণ্ডল সভাপতি