অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: উত্তরাখণ্ডের পাঁচ বাঙালি অভিযাত্রীর দেহের সঙ্গে একইদিনে দিল্লি থেকে কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন হাওড়ার দুই বাসিন্দা। 


গতকাল আগরা যাওয়ার পথে, গ্রেটার নয়ডার কাছে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে উল্টোদিক থেকে আসা গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় স্কুলশিক্ষক স্বপন ভট্টাচার্য ও তাঁর প্রতিবেশী স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমীর মণ্ডলের ছেলে শচিন মণ্ডলের। আজ ২ জনের দেহ পৌঁছয় কলকাতা বিমানবন্দরে। 


দেবভূম উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে গিয়ে আর ফিরতে পারেননি বাংলার ১১ অভিযাত্রী। আর পুজোর পর উত্তর ভারত বেড়াতে গিয়ে পথেই শেষ হয়ে গেল দুই বাঙালির জীবন। 


গত বৃহস্পতিবার, হাওড়ার ডোমজুড়ের মুখার্জি পাড়ার বাসিন্দা পেশায় স্কুলশিক্ষক স্বপন ভট্টাচার্য ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমীর মণ্ডলের পরিবারের ৯ জন সদস্য দিল্লি রওনা দেন। 


দিল্লি ঘুরে রবিবার সকালে তাঁরা, যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাচ্ছিলেন আগরায়। পরিবারের দাবি, গ্রেটার নয়ডার কাছে তাঁদের গাড়ি খারাপ হয়ে যায়।


আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ড থেকে ফিরল তিন বাঙালি অভিযাত্রীর দেহ


দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটিতে উল্টোদিক থেকে আসা একটি গাড়ি ধাক্কা মারলে, শিক্ষক স্বপন ভট্টাচার্য ও তাঁর প্রতিবেশী স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলে সচিন মণ্ডলের মৃত্যু হয়। ড্রাইভারের পাশের আসনে দু’জন বসে ছিলেন।


মৃতের বউদি বর্ণালী চক্রবর্তী বলেন, আজ সকালে আমার জা ফোন করে বলে বিরাট বড় অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। বলে মনে হয় বেঁচে নেই। আজ সকালে আগরায় যাচ্ছিল গাড়িতে করে। আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। 


সবসময় পাড়ার ছেলে, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা। প্রাণোচ্ছল মাস্টারমশাইয়ের এই অকাল পরিণতি মানতে পারছে না ডোমজুড়ের মুখার্জিপাড়া। এক প্রতিবেশী বললেন, আমাদের মাস্টারমশাই, খুব ভাল মানুষ। এই রকে আড্ডা দিতেন। সবাইকার শ্রদ্ধেয় মাস্টারমশাই।


মৃত শিক্ষকের বন্ধু প্রেমাঙ্কুর বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, বলার মতো কিছু নেই, ওই সব ছিল, সব শেষ হয়ে গেল। প্রতিবেশীরা বলছেন বেড়াতে ভালবাসতেন স্বপন। সেই বেড়াতে গিয়েই না ফেরার দেশে চিরতরে চলে গেলেন দুই প্রতিবেশী।