অনির্বাণ বিশ্বাস ও হিন্দোল দে, কলকাতা: উত্তরাখণ্ড থেকে ফিরল তিন বাঙালি অভিযাত্রীর দেহ। কলকাতা বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। 


মৃত বিকাশ মাকাল, সৌরভ ঘোষ ও রিচার্ড মণ্ডল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নেপালগঞ্জের বাসিন্দা। রিচার্ডের বাড়ি বারুইপুরের কল্যাণপুরে হলেও তিনি থাকতেন নেপালগঞ্জে মামার বাড়িতে। 


এদিন বিমানবন্দর থেকে তিনজনের দেহ নেপালগঞ্জ বাজারে আনার পর তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। তাঁদের দেহ ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।


আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডের লামখাগা পাস থেকে উদ্ধার হরিদেবপুরের বাসিন্দা তনুময় তিওয়ারির দেহ, এখনও নিখোঁজ তাঁর মামা


সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উত্তরাখণ্ড সরকারের সঙ্গে নবান্নের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড থেকে অভিযাত্রীদের দেহ ফিরিয়ে আনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছে রাজ্য সরকার।


দেবভূম উত্তরাখণ্ডে সম্প্রতি ট্রেকিংয়ে গিয়ে তুষার ধসের কবলে পড়ে মৃত্যু হয় বাংলার ১১ জন অভিযাত্রীর। শুক্রবার, সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকায় ৫ বাঙালি অভিযাত্রীর মৃতদেহের হদিশ মেলে। আর শনিবার, লামখাগা পাস সংলগ্ন দু’টি জায়গা থেকে পাওয়া গেল আরও ৬ জনের মৃতদেহ।


আরও পড়ুন: দুই রাজ্যের দুর্যোগ প্রাণ কাড়ল ট্রেকিংয়ে যাওয়া ১১ জন বাঙালির


উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ প্রশাসনের তরফে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। মৃতদের মধ্যে ৪ জন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। কলকাতার বাসিন্দা ৩ জন। মৃত্যু হয়েছে, হাওড়ার বাগনানের তিন বাসিন্দারও। মৃতদের মধ্যে একজন নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা।


উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি জানিয়েছেন, ১১ জন করে অভিযাত্রীদের ২টি দল, দুটি আলাদা জায়গা থেকে ট্রেক করতে গিয়েছিল।প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিখোঁজ হন সকলেই। 


২২ জনের মধ্যে ১১ জন বাঙালি অভিযাত্রী সহ ১২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৬ জনকে, ৪ জন এখনও নিখোঁজ। 


আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, উৎকণ্ঠার প্রহর কাটিয়ে স্বস্তি বাঁকুড়ার ৭ পর্বতারোহীর পরিবারে