সুনীত হালদার, উদয়নারায়ণপুর: মত্ত অবস্থায় বাবাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। খুনে ব্যবহৃত ধারাল অস্ত্র নিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন অভিযুক্ত ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে। 


মৃতের নাম মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরা। চাষবাসের কাজ করতেন। পরিবারের দাবি, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মৃত্যুঞ্জয় ও তাঁর ছেলে উদয়ের(২৮) মধ্যে প্রায়ই গণ্ডগোল হত। 


ছেলে উদয় মাঝে মাঝে কাজ করলেও বেশীরভাগ সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকতেন। মৃত্যুঞ্জয়‌ও মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে মারধর করতেন। সেই কারণে স্ত্রী পাশের বাড়িতে থাকতেন। 


গতকাল নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বচসায় জড়ান বাবা ও ছেলে। গতকাল রাত ৮ টা নাগাদ বাবা ছেলে দুজনেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বচসায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন উদয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে বাবার ওপর চড়াও হয়ে কোপাতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বছর ৪৮-এর ওই ব্যক্তির।


আরও পড়ুন: ঘর থেকে উদ্ধার তিনজনের দেহ, দিনহাটায় স্ত্রী-ছেলেকে 'খুন করে আত্মঘাতী' স্বামী, অনুমান পুলিশের 


এরপর রক্তমাখা কুড়ুল হাতে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত ছেলে। বাবাকে খুনের অভিযোগে রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে উদয়নারায়ণপুর থানার পুলিশ। 


উদয়নারায়ণপুরের থানার পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


২ দিন আগে, নার্সের বিরুদ্ধে রোগীকে ভুল ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তোলেন পরিজনরা। আর এই অভিযোগ ঘিরে হাওড়ার উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায়। রোগীর আত্মীয়দের বিক্ষোভ সামাল দিতে নামানো হয় র‍্যাফ।


পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল মায়ের ওপর অভিমান করে অ্যাসিড খেয়ে ফেলে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। তাকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


আরও পড়ুন: খুন হতে পারেন, অগাস্ট মাসে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বড়বাজারের নিহত ব্যবসায়ী, দাবি


উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও দীর্ঘক্ষণ তাকে দেখেননি কোনও চিকিৎসক। রাতে অক্সিজেন সিলিন্ডার বদলে দেওয়ার অনুরোধেও কর্ণপাত করা হয়নি। উল্টে কর্তব্যরত নার্স ভুল ইঞ্জেকশন দিয়ে রোগীকে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। 


এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। রোগীকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।