সুদীপ্ত আচার্য, বালি: টানা বৃষ্টিতে ধস নামলো বালি ব্রিজে ওঠার রাস্তায়। তড়িঘড়ি মেরামতির কাজ শুরু করেছে পূর্ত দফতর। এই সেতুতে রেল ও সড়ক পথ রয়েছে।
সূত্রের খবর, টানা দু দিনের বৃষ্টিতে দক্ষিণেশ্বরের দিক থেকে ওঠার রাস্তার বাঁ দিকে প্রায় ১০০ মিটার অংশের নীচের মাটি সরে যায়। মঙ্গলবার বিষয়টি নজরে আসে ডানলপ ট্র্যাফিক গার্ড ও পূর্ত দফতরের।
তারপরেই বুধবার থেকে কাজ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে অস্থায়ী ভিত্তিতে ওই ধস নামা অংশে শাল খুঁটি পুঁতে তার মাঝে সাদা বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে।
পূর্ত দফতরের কর্মীরা জানাচ্ছেন, বৃষ্টির জল স্রোতের মত কংক্রিটের রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে নীচে পরেছে। তাতেই মাটি আলগা হয়েছে। রাস্তাও ফেলে গিয়েছে।
পুলিশের তরফে ওই অংশ ঘিরে দেওয়া হয়েছে। পূর্ত কর্মীরা জানাচ্ছেন, বিষয়টি নজরে না এলে যাত্রী বোঝাই বাস যাওয়ার সময় ওই অংশে উল্টে যাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছিল। অস্থায়ী কাজটি শেষ করতে কয়েক দিন সময় লাগবে।
মঙ্গলবারই প্রবল বৃষ্টিতে উলুবেড়িয়ার কাঁটাবেড়িয়ায় ধসে যায় বনস্পতি খালের পাশের রাস্তার একাংশ। আধ ভাঙা রাস্তা দিয়ে, সাইকেল বা বাইক নিয়ে যাতায়াত করা গেলেও, গাড়ি চলাচল বন্ধ।
ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের বক্তব্য, এই রাস্তা দিয়ে কাঁটাবেড়িয়া থেকে উলুবেড়িয়া-আমতা রাজ্য সড়কে উঠতে গেলে যেতে হয় প্রায় ১ কিলোমিটার। কিন্তু, ঘুরপথে পানপুর মোড়, বাণীবন হয়ে রাজ্য সড়কে উঠতে প্রায় ৪ কিলোমিটার অতিরিক্ত ঘুরতে হয়।
প্রশাসন সূত্রে খবর, আগে বালির বস্তা দিয়ে অস্থায়ী ভাবে মেরামত হয়েছিল। এবার এই বিপত্তি। এ বিষয়ে উলুবেড়িয়া ২ নম্বরের বিডিও জানিয়েছেন, সেচ দফতর কাজ শুরু করেছে। বর্ষায় খালের জল বেশি থাকায় পাইলিংয়ের কাজ এই মুহূর্তে করা যাচ্ছে না। তবে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। পাকাপাকি ভাবে পুজোর আগেই কাজ হবে।
গত সপ্তাহে, ১৬ তারিখ পানিহাটি এক নম্বর ওয়ার্ড রাজাবাগান কলোনিতে গঙ্গা সংলগ্ন এলাকায় ধস নেমে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গঙ্গার ঘাট সহ এলাকার বহু বাড়ি। বাড়ির দেওয়ালে গঙ্গায় তলিয়ে গেছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে যথেষ্ট আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। পুরসভা থেকে বিধায়ক-- সবাইকে জানানো সত্ত্বেও কোনও রকম সুরাহা এলাকার মানুষ পাননি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: কালিম্পঙের ২৯ মাইল এলাকায় ধস, দশ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাহত যান চলাচল