সুনীত হালদার, হাওড়া : ফের রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের (Robinson Street Case) ছায়া হাওড়ায়। স্বামীর পচাগলা দেহ আগলে বসে থাকলেন স্ত্রী। পুলিশ (Police) এসে শেষমেশ দরজা ভেঙে উদ্ধার করে মৃতদেহ। পাশাপাশি বৃদ্ধার পরিবারকে দেওয়া হয় খোঁজ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। যা তীব্র আকার ধারণ করে বুধবার। যার পরই স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশে। 


হাওড়ার (Howrah) ব্যাটরা থানার অন্ত:র্গত ডুমুরজলা এইচ আই টি কোয়ার্টারের ঘটনা। সেখানে থাকতেন নিঃসন্তান ওই বৃদ্ধ দম্পতি। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মৃত সমর ভট্টাচার্য অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী। স্বভাবে বেশ মিশুকে ছিলেন। সমরবাবুর স্ত্রী বেশ কিছুটা অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘদিন ধরেই। স্থানীয়দের কারোর কারোর কথায়, খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরেই সময়বাবুকে বাইরে দেখা যায়নি বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। ঠিক কবে ওই ব্যক্তি মারা গিয়েছেন, তা নিয়ে অবশ্য তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তবে গত কয়েকদিন ধরেই বাড়ি থেকে গন্ধ বেরোনোর জেরে মনে করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগেই মারা গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। মাঝে বেশ কয়েকদিন স্বামীর দেহ আগলে বসেছিলেন তাঁর স্ত্রী। 


পুলিশ এসে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করার পাশাপাশি তা পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। পাশাপাশি ওই দম্পতি নিঃসন্তান হওয়ায় তাঁদের আত্মীয়দের খবর দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।                                            


মাসকয়েক আগেই হাওড়ার জগাছায় ফিরে এসেছিল রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া। সেবার ৪-৫ দিন ধরে মৃত স্ত্রীর সঙ্গে একই ঘরে কাটিয়েছিলেন স্বামী। হাওড়ার জগাছা থানা নন্দীপাড়ার এই বাড়িতে বছর ৭০-এর স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন ৭৫ বছরের তুষার চক্রবর্তী। একমাত্র মেয়ে থাকতেন হায়দরাবাদে। প্রতিবেশীদের দাবি, কিছু দিন বৃদ্ধ দম্পতির কাউকেই বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি। যার পর তাঁদের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে। সমীক্ষার কাজে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীদের। খবর পেয়ে ৬৭ বছরের তপতী চক্রবর্তীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে জগাছা থানার পুলিশ (Jagacha Police Station)।                      


আরও পড়ুন- ১৫ দিনের ডেডলাইন, বলপ্রয়োগের হুঁশিয়ারি! অমর্ত্য সেনকে ফের নোটিস বিশ্বভারতীর