সুনীত হালদার, হাওড়া: আজ শুভ গণেশ চতুর্থী উৎসব (Ganesh Chaturthi)। সারা দেশ জুড়ে পালিত হলেও উৎসবের আমেজে খানিকটা ঘাটতি দেখা দিচ্ছে বিশেষত করোনা পরিস্থিতির কারণে। তার মধ্যেও যে যার সাধ্য মতো আয়োজন করেছেন গণেশ পুজোর (Ganesh Chaturthi 2021)। বিশ্বাস করা হয় যে, গণেশ ঠাকুরের পুজো করলে পরিবারে সুখ, সমৃদ্ধি ভরে ওঠে। উৎসব হবে আর মুখ মিষ্টি হবে না তা আবার হয় নাকি! কিন্তু যাঁরা মধুমেহ (Diabetes) রোগে আক্রান্ত, তাঁরা কীভাবে এই উৎসবে যোগ দেবেন? তাঁদের জন্য যে মিষ্টি (Sweet) শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তাঁদের জন্য অভিনব লাড্ডু তৈরি করেছে সালকিয়ার এক মিষ্টির দোকান। 


আরও পড়ুন - Howrah Theft : একই এলাকায় ১০দিনে ৭টি চুরি! আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়া এলাকার বাসিন্দাদের


বেশিরভাগ মধুমেহ রোগীদের মধ্যেই লুকিয়ে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। ডাক্তারের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জিভের স্বাদ পরিপূর্ণ করতে তাঁরা স্বাস্থ্যের কথা ভুলে বসেন। তার উপর যদি উৎসবের মরশুম হয়, তাহলে মিষ্টির প্রতি আলাদা টান অনুভব করা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। আর তাই মধুমেহ রোগীরাও যাতে সমানভাবে উৎসবের মরশুমে মিষ্টি মুখ করতে পারেন, তার জন্য বিশেষ মিষ্টি প্রস্তুত করেছেন সালকিয়ার এই মিষ্টির দোকান। জানা যাচ্ছে, গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে কম মিষ্টির অভিনব লাড্ডু তৈরি করেছে এই দোকান। মধুমেহ রোগীদের জন্য কম মিষ্টির এই লাড্ডুর নাম দিয়েছে 'অর্গানিক ডায়াবেটিক লাড্ডু'। তাঁদের দাবি, এই লাড্ডু একেবারেই মধুমেহ রোগীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। চেটেপুটে এই লাড্ডু খেলেও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে না বলে তাঁরা জানাচ্ছেন।


আরও পড়ুন - Howrah: ৪ মাস ধরে বন্ধ জুটমিল, প্রতিবাদে সিটু-র নেতৃত্বে পথ অবরোধ শ্রমিকদের


সালকিয়ার চৌরাস্তার কাছে এই মিষ্টির দোকান। দোকানের তরুণ মালিক অভিজিৎ দাস এই অভিনব মিষ্টি প্রসঙ্গে বলছেন, 'মধুমেহ রোগীরা অনেক সময়ই লুকিয়ে মিষ্টি খেয়ে থাকেন। তাই তাঁদের জন্য মেডিকেটেড এই লাড্ডু তৈরি করা হয়েছে। এই অর্গানিক ডায়াবেটিক লাড্ডুতে যে চিনি ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে শর্করার পরিমাণ কম রয়েছে। পাশাপাশি এই লাড্ডু শরীরের জন্যও ক্ষতিকর নয়। চিনিতে শর্করার মাত্রা কম থাকলেও লাড্ডু খেতে কিন্তু একইরকম সুস্বাদু। স্বাদে কোনও ঘাটতি নেই। শুধু মধুমেহ রোগীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে তাঁদের রসনাতৃপ্তির একটা চেষ্টা আমাদের পক্ষ থেকে।'


তিনি আরও বলছেন, 'অর্গানিক ডায়াবেটিক লাড্ডুর চাহিদাও এখন খুবই ভালো। তাছাড়া দামও ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যেই রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা এই মিষ্টি পুরোপুরি উপভোগ করতে পারেন'। সন্তোষ দাস নামে এক মধুমেহ রোগী জানাচ্ছেন যে, মিষ্টির দোকানে এলেই তাঁর মন খারাপ হয়ে যায়। ইচ্ছে থাকলেও শরীরের কথা চিন্তা করে তিনি নিজের জন্য মিষ্টি কিনতে পারেন না। তবে এবার এই অর্গানিক ডায়াবেটিক লাড্ডু পেয়ে খুব খুশি। শুধু তিনি নন, বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও এই লাড্ডু খেতে পারবেন। গণেশ পুজোর আগে বিশেষ এই লাড্ডু তাঁর রসনাকে তৃপ্ত করবে বলে আশা করছেন।