সুনীত হালদার, হাওড়া: শনিবার হাওড়া স্টেশন থেকে দু'দফায় উদ্ধার বিপুল পরিমাণ টাকা। গতকাল হাওড়া স্টেশনে আর পি এফ এর ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ এবং ক্রাইম প্রিভেনশন ও ডিটেকশন স্কোয়াডের আধিকারিকরা তল্লাশি চালায়।

প্রথমে হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এক ব্যক্তিকে আটক করে।পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বাসিন্দা বিধানচন্দ্র কুমার (৪৫) নামে ওই ব্যক্তির কাছে থাকা ব্যাগ থেকে পাওয়া যায় নগদ কুড়ি লাখ টাকা। এরপর আরও এক ব্যক্তিকে আটক করে। তার কাছ থেকে পাওয়া যায় বারো লাখ আশি হাজার টাকা। দুজনেই এই টাকার সাপেক্ষে কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। আটক দুই ব্যক্তি ও বাজেয়াপ্ত টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে কলকাতার কাস্টমস ডিপার্টমেন্টকে। সন্দেহভাজন কিছু চোখে পড়লেই করা হচ্ছে তল্লাশি। এমনকি GRP জওয়ানরা সর্বক্ষণের জন্য নজরদারি চালিয়ে যান।                          

এর আগেও হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার হয়েছিল নগদ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। ডাউন পটনা-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেসে যাত্রীর ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছিল এই বিপুল পরিমাণ অর্থ। একজনকে আটক করেছিল আরপিএফ।

আরও পড়ুন, 'চিত্ত যেথা ভয়শূন্য'! সেনাকর্মীর বাড়িতে ঢুকে দু:সাহসিক ডাকাতি, কাটল মায়ের কানও

পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসছে। তার আগে একের পর এক টাকা উদ্ধারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে হামেশাই। টাকার পাহাড় যেন লোকানো শহরে ! বালিগঞ্জ (Ballygunj), গড়িয়াহাটের (Gariahat) পর দিন কয়েক আগে বড়বাজারে (Kolkata) উদ্ধার হয় যকের ধন ! বড়বাজারে বান্ডিল বান্ডিল নোটের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অভিযান। সেবারও প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার হদিশ মিলেছিল। হাওয়ালা চক্রের লক্ষ লক্ষ টাকা বলে সন্দেহ পুলিশের । পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছিল ২ জনকে। কিন্তু এত পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার হওয়ার পর এগুলো কার টাকা জানতে চান কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। টাকার উৎস কী, কোথাও পাঠানোর জন্য রাখা হয়েছিল কি না জানতে চাইলেও বড়বাজারের অফিসে যারা হাজির ছিলেন, তাঁদের কেউই সদুত্তর দিতে পারেননি। পাশাপাশি দেখাতে পারেননি কোনও নথিও। যার পরই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।