ভাস্কর ঘোষ, নিশ্চিন্দা(হাওড়া) : রহস্যজনকভাবে(Mysteriously) নিখোঁজ একই পরিবারের তিনজন ! নিশ্চিন্দা থানা এলাকার আনন্দনগর সাপুইপারা এলাকার ঘটনা ।


গত ১৫ ডিসেম্বর শীতবস্ত্র কিনতে শ্রীরামপুরে যাবে বলে বের হন বাড়ির দুই বধূ ও সাত বছরের এক পুত্রসন্তান। বেলুড় থেকে শ্রীরামপুর ট্রেনে করে মার্কেটিংয়ের জন্য বের হন দুপুর ১২টায়। তারপর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে তিন জন সম্পূর্ণ বেপাত্তা। ওই দিন বেলা আড়াইটের পর থেকে মোবাইলও সুইচ অফ আসছে।


তাঁদের না পেয়ে ১৫ ডিসেম্বর রাতে নিশ্চিন্দা(Nischinda) থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। এখনও পর্যন্ত তাঁদের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই আশঙ্কায় রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাঁরা বারবার ছুটে যাচ্ছেন থানায়। কী হল দুই বধূ এবং ওই ছোট্ট সন্তানের তা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা।


আরও পড়ুন ; ৯ বছর আগে বিহার থেকে হারিয়ে যান মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক, হাওড়া থেকে সন্ধান দিল হ্যাম রেডিও


তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও হুমকি ফোনও আসেনি। নিখোঁজ দুই গৃহবধূর নাম- রিয়া কর্মকার, ২৩ বছর বয়স। অনন্যা কর্মকার, ২৫ বছর বয়স এবং আইস কর্মকার. সাত বছর বয়স ।


প্রসঙ্গত, ৯ বছর আগে বিহার(Bihar) থেকে হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে হাওড়া(Howrah) থেকে ফিরে পায় পরিবার। সৌজন্যে হ্যাম রেডিও। দীর্ঘদিন পর হারানো ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি পরিবারের লোকজন।


মনোজ পাসওয়ান নামে ২৮ বছর বয়সি এই যুবক হারিয়ে গিয়েছিলেন ৯ বছর আগে। বিহারের বাঁকা জেলার বাসিন্দা মনোজ । যখন ঘরের ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন, ঠিক সেই সময় হঠাৎই মনোজের খবর পাওয়া যায়। হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজ পরিচালিত হোম থেকে ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আসেন মনোজের বাবা ও  মামা।


ছটপুজোর দিন বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন মনোজ। হোয়াটসঅ্যাপ কলে বাবা তাঁর ছেলেকে চিনতে পারেন। পরিবারের তরফে মনোজের বাবা ও মামা তাঁকে নিতে আসেন হাওড়ায়। দীর্ঘদিন বাদে ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি পরিবার।