সুনীত হালদার, হাওড়া: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকা থাকাকালীন এক কিশোরীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। তারপরে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে চাপ দিয়ে কিশোরীর গর্ভপাত (abortion) করানোরও অভিযোগ। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। হাওড়া শ্যামপুরের বাসিন্দা ওই যুবক কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে ছিলেন। ধৃত যুবক পেশায় সফটওয়্য়ার ইঞ্জিনিয়ার। ধৃত যুবকের নাম প্রদীপ্ত ডগর। 


কী অভিযোগ:
বৃহস্পতিবার পুলিশ ওই যুবককে তাঁর কর্মস্থল বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা শুরু করেছে পুলিশ। এছাড়া ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ওই যুবক হাওড়ার (Howrah) শ্যামপুরের বাসিন্দা। বছর খানেক আগে ওই এলাকারই এক নাবালিকা কিশোরীর সঙ্গে তার সম্পর্ক শুরু হয় বলে দাবি। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই নাবালিকার সঙ্গে সহবাস করার অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, সহবাসের ফলে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে, তখন সে নাবালিকা (Minor)। তখন তাকে জোর করে চুপ করে থাকতে বলে অভিযুক্ত। শেষ পর্যন্ত লোক জানাজানির ভয়ে তাকে নিয়ে আমতার এক নার্সিংহোমে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। এরপরেই এখান থেকে বেঙ্গালুরু চলে যায় ওই যুবক।


অভিযোগ দায়ের:
অভিযোগ, বেঙ্গালুরু যাওয়ার পর থেকে ওই যুবক আর ওই কিশোরীর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ রাখছিল না। ইতিমধ্যেই ওই কিশোরী সাবালিকা হয়েছে। এর মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায় তরুনীর পরিবারের মধ্যে। পরিবারের লোকেরাও ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই আর অভিযুক্ত যুবক সাড়া দিচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত কোনও উপায় না দেখে গত ৭ এপ্রিল ওই তরুণী শ্যামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশ ওই যুবকের কর্মস্থল বেঙ্গালুরে যায়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে নিয়ে আসা হয় শ্যামপুরে। শুক্রবার তাকে উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার দু দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।


আরও পড়ুন:   'মতান্তর হতে পারে, ঐক্য নষ্টে চেষ্টা করলেই বাদ' INTTUC-এর দ্বন্দ্ব মেটাতে কড়া বার্তা ঋতব্রতর