কলকাতা: পড়াশোনা শেষ হলেই দৌড় শুরু হয় চাকরির বাজারে। সরকারি চাকরির প্রস্তুতি তো রয়েইছে। কিন্তু তার বাইরেও বেসরকারি ক্ষেত্রেও একাধিক আকর্ষণীয় চাকরি রয়েছে। কিন্তু সেই চাকরির বাজারের (Job Market) প্রবল প্রতিযোগিতা। যা এতদিন পড়াশোনার জগতের প্রতিযোগিতার থেকে অনেকটাই আলাদা। সেখানে লড়তে গেলে ভাল 'অস্ত্র' চাই। পড়াশোনা, কাজের অভিজ্ঞতা অবশ্যই কাজে আসবে। কিন্তু সেটা তখনই দেখানোর সুযোগ থাকবে যখন প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হবেন কেউ। সেই প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেতে সবচেয়ে জরুরি একটা ভাল সিভি। যাকে বায়োডাটা বলা হয় থাকত আগে। এখন CV বা Curriculum Vitae যেকোনও চাকরিতে আবেদনের জন্যই প্রয়োজনীয়।


ফ্রেশার হোক বা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। সবার জন্যই প্রয়োজন CV. কিন্তু যেমন করে হোক তা লিখে দিলে চলবে না। তথ্যকে সুচারুভাবে তুলে ধরতে হবে এবম অল্প জায়গার মধ্যে। CV তৈরির সময়ে বেশ কিছু দিকে খেয়াল রাখতে হয়। সেগুলো কী কী?


যা যা লাগবেই:
ব্যক্তিগত তথ্য এবং কন্ট্যাক্ট অর্থাৎ ফোন নম্বর, মেইল আইডি, এগুলো দিতেই হবে। তার সঙ্গে পড়াশোনার বিষয়ে তথ্য, কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সেটাও রাখতে হবে। যে কাজের জন্য আবেদন করছেন, তার জন্য় যদি কিছু আলাদা করে স্কিলসেট বা দক্ষতা থাকে আপনার তাহলে সেটা উল্লেখ করুন।


আরও তথ্য:
যদি কোনও সার্টিফিকেট কোর্স করে থাকেন। কোনও বিশেষ ট্রেনিং নিয়ে থাকেন, সেগুলো উল্লেখ করুন আলাদা করে। কোনও ট্রেনিংয়ের মধ্যে থাকলে সেটাও উল্লেখ করুন।


সাজের রকমফের:
প্রচুর রঙের ব্যবহার না করাই ভাল। নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে CV সাজানো যায়। বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে বিনামূল্যে বিভিন্ন ফরম্যাট পাওয়া যায়। সেই ফরম্যাট অনুযায়ী সাজিয়ে ফেলা যায় CV. এর মূল শর্ত হল, ব্যক্তিগত এবং পেশাগত তথ্য এমনভাবে পেশ করা যাতে অল্প সময়ের মধ্যেই চোখে পড়ে এবং বাছাইয়ের তালিকায় ঢুকে পড়া যায়। সেইভাবেই সাজাতে হবে CV.


বেশি লম্বা নয়:
মনে রাখতে হবে, যিনি CV দেখবেন, তাঁর হাতে অজস্র CV থাকবে। বেশি বড় CV পড়া সম্ভব নয়। খুব বেশি হলে দুটি A4 পেপারের মাপে CV তৈরি করতে হবে। কারণ খুব অল্প সময়ের মধ্যে CV বাছাই করা হয়।


চাকরির প্রয়োজন বুঝে:
যে চাকরির জন্য় আবেদন করছেন, সেই চাকরি কী চেয়েছে তা আলাদা করে দেখুন। সেভাবেই CV তৈরি করুন। আলাদা আলাদা চাকরির জন্য আলাদা আলাদা CV তৈরি করা উচিত। যে দক্ষতা চাওয়া হয়েছে, সেটা আপনার থাকলে CV তে সেটা ঠিকমতো ফুটিয়ে তোলায় জোর দিন।


সময়ে আপডেট:
অনেকেই একটা চাকরি থেকে অন্য চাকরিতে শিফট করেন। তার জন্য় চাকরি করতে করতেই বিভিন্ন জায়গায় CV দিতে হয়। সেই মতোই CV আপডেট করে রাখুন। অভিজ্ঞতা যেমন বাড়তে থাকে, তেমনই বিভিন্ন স্কিলও শেখা হয় নতুন করে। সেই তথ্য CV-তে রাখতে হবে।


আরও পড়ুন:  ৪১,০০০ টাকা বেতন, স্টেট ব্যাঙ্কে ৬৪১টি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি


 


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI