কলকাতা: খড়গপুর IIT-তে এক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু (IIT Student Death)। হস্টেলের পিছনে কার্নিশ থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী। মৃতের নাম দেবিকা পিল্লাই।


ফের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু: কেরলের বাসিন্দা ২১ বছরের দেবিকা। খড়গপুর IIT-র বায়ো টেকনোলজি অ্যান্ড বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। এদিন সকালে সরোজিনী নায়ডু হলের ছাদের কার্নিশে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান অন্য পড়ুয়ারা। কী  কারণে এমন ঘটনা, খতিয়ে দেখছে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে মৃত ছাত্রীর দেহ। 


খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, "এই ঘটনা সামনে আসার পর নিরাপত্তা এবং মেডিকেল টিম সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক করা হয়। জেলা পুলিশকে জানানো হয় সঙ্গে সঙ্গে। ওই ছাত্রীর পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব রকম সাহায্য করছে। সরোজিনী নাইডু/ইন্দিরা গান্ধী হলের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন দেবিকা। বায়ো সায়েন্স এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগে অধ্যাপকের অধীনে সামার ইন্টার্নশিপ করছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শোকের ছায়া।'' 


২০২২-এর অক্টোবর মাসে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় খড়গপুর IIT-র মেধাবী ছাত্র ফয়জান আহমেদের। তার প্রায় দেড়বছরের মাথায় দিনকয়েক আগে কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়ে IIT-র সর্বভারতীয় পরীক্ষায় একাদশ স্থানাধিকারী ফয়জানের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। ফয়জান আহমেদকে খুন করা হয়েছে বলে রিপোর্টে জানালেন বর্ষীয়ান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয়কুমার গুপ্ত। ২০২২ -এর ১১ অক্টোবর থেকে খড়গপুর IIT-র তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ফয়জান আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। ঘটনাচক্রে সেই সময়ই তাঁর রুমমেট ঘরে ছিলেন না। ৩ দিন পর, ১৪ অক্টোবর সেই রুমমেট ফিরে ঘরের দরজা খোলেন। তখনই দেখা যায় ঘরের ভিতরে পড়ে রয়েছে ফয়জানের মৃতদেহ। রহস্য়জনকভাবে দেহে পচন ধরলেও কোনও দুর্গন্ধ বেরোয়নি। প্রথম ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কার্যত আত্মহত্যার তত্ত্ব উঠে এলেও খুন করা হয়েছে মেধাবী ফয়জানকে, এই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা করে নিহত পড়ুয়ার পরিবার। যার প্রেক্ষিতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয়কুমার গুপ্তকে তার মতামত দিতে বলে আদালত। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে বর্ষীয়ান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয়কুমার গুপ্ত জানান, প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ও পুলিশের দেওয়া ভিডিওতে ফাঁক রয়েছে। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অসমের কবর থেকে মৃতদেহ তুলে এনে কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজের পুলিশ মর্গে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Kanchanjunga Express Train Accident News: 'গত ১০ বছরে রেল দুর্ঘটনা বেড়েছে' মোদি সরকারকে নিশানা রাহুলের