ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, দ্বিতীয়বার সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ED। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার তৃণমূল (TMC) নেতা জ্ঞানানন্দ সামন্তের গাড়িতে চেপেই, CGO কমপ্লেক্সে আসেন রাহুল। ED সূত্রে দাবি, সুজয়কৃষ্ণ ও জ্ঞানানন্দের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করতেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার।
পেশায় তিনি সিভিক ভলান্টিয়ার। কিন্তু, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে গেছে, এই রাহুল বেরারও! নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) রাহুল বেরা। দ্বিতীয়বার তলব পেয়ে, শুক্রবার ফের CGO কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন তিনি।
ED সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, কালীঘাটের কাকু মোবাইল ফোনের বেশকিছু তথ্য ডিলিট করার জন্য রাহুলকে বলেছিলেন। সে কথা আগেরবারই স্বীকার করেছিলেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer)। কিন্তু তাঁর সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের বয়ান মিলছে না বলে, এদিন তাঁকে ফের তলব করা হয়েছিল। 'কালীঘাটের কাকু'র গতিবিধি সম্পর্কে তিনি কী জানতেন?
নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Corruption) টাকা কি তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই লেনদেন হয়েছে? সূত্রের খবর, মূলত এই বিষয়গুলিই রাহুলের থেকে জানতে চান ED অফিসাররা। বিকেল গড়িয়ে গেলেও অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। গত বিশে মে, সুজয়কৃষ্ণের বাড়ি ছাড়াও তৃণমূল নেতা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্তর বাড়িতেও হানা দিয়েছিল ED.
সূত্রের দাবি, স্কুলে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলতেন ওই তৃণমূল নেতা এবং তা পাঠিয়ে দিতেন 'কালীঘাটের কাকু'র কাছে। সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরা, কালীঘাটের কাকুর পাশাপাশি এই তৃণমূল নেতারও ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এমনকি এ দিন যে SUV-তে চেপে CGO কমপ্লেক্সে এসেছিলেন রাহুল, নম্বর প্লেট মিলিয়ে দেখা গেল, এই গাড়িটিও ওই তৃণমূল নেতার। ED সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, সুজয়কৃষ্ণ ও জ্ঞানানন্দের মধ্যে মূলত সেতুবন্ধনের কাজ করতেন রাহুল।
তাই তাঁর কাছেই নিয়োগ দুর্নীতির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই একবার অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ED. সূত্রের খবর, জ্ঞানানন্দ কাকে কাকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন এবং সুজয়কৃষ্ণর মাধ্যমে টাকা কোথায় কোথায় পৌঁছে গেছিল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের কাছ থেকে তা জানতে চান তদন্তকারী অফিসাররা।