সন্দীপ সরকার, কলকাতা: এসএসকেএমে (SSKM) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসা যেখানে চলছে, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ। গতকাল আদালতে ইডি জানিয়েছিল, 'জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রভাবশালী ব্যক্তি, হাসপাতালে কারা আসছেন দেখা করতে, তার উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।' সেই মতো প্রেসিডেন্সি জেলের তরফে এসএসকেএমে ক্যামেরা লাগাতে এল কলকাতা পুলিশের টিম।


ইডি-র আর্জির ভিত্তিতে, রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত ও বর্তমানে SSKM-এ প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার নজরদারিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেইমতো পুলিশের সঙ্গে কথা বলে শুক্রবার SSKM হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা বসাল প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ।


ঠিক কোথায় বসেছে ক্যামেরা?
এখন SSKM-এর কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিনে ভর্তি রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সূত্রের দাবি, ঠিক তার বাইরেই প্রথম ক্যামেরাটি ইনস্টল করা হয়েছে। এছাড়াও সেখানে পাহারায় রয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতোই প্রভাবশালী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। জেল থেকে তাঁকে SSKM-এর ICCU-তে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি কার সঙ্গে দেখা করছেন? তাঁর কী হয়েছে, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরেই সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেন বিচারক। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সিসি ক্যামেরার লিঙ্কও দেওয়া হয়েছে ইডির তদন্তকারী অফিসারকে। ইডি সূত্রে দাবি, লাইভ সিসিটিভি ফুটেজে নজরদারির জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 


নজরে কী কী?
চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর কেবিনে কারা ঢুকছে, কতক্ষণ থাকছে, কোনও সময়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বের করা হচ্ছে কিনা, বের করলেও কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কতক্ষণ পর আবার ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, সেইসব বিষয়েই কড়া নজরদারি চালাতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। 


হাসপাতাল সূত্রে খবর, দাঁড়াতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। এরপরই ৫ নম্বর কেবিন থেকে তাঁকে ICCU-র ১২ নম্বর কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এ ধরনের অসুস্থতাকে চিকিৎসকদের পরিভাষায় বলে নিউরো কার্ডিওজেনিক সিনকোপ। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই জ্যোতিপ্রিয়কে ICCU-তে রাখা হয়েছে বলে SSKM কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল। ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর। ওই দিনের শুনানিতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। 


আরও পড়ুন: পড়েছিল সতীর ব্রহ্মরন্ধ্র, এখানে পাপস্খালন করেছিলেন স্বয়ং রামচন্দ্র, পড়ুন মরুতীর্থ হিংলাজ কথা