রাজা চট্টোপাধ্যায়, ধুপগুড়ি: করোনা মহামারীর মধ্যে জ্বর-শ্বাসকষ্টের প্রকোপ। সঙ্গে মশাবাহিত রোগের ভ্রুকুটি। যেন ত্র্যহস্পর্শ চলছে উত্তরবঙ্গে। সেপ্টেম্বরের পর অক্টোবরের শুরুতেই ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ মিলল জলপাইগুড়িতে। 


স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ধুপগুড়ি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এক তরুণীর সন্ধান মিলেছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে এক শিশুর শরীরে ডেঙ্গির সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। 


জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, পারভিনা বেগম নামের তরুণী বেশ কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। ধূপগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসায় তাঁর ডেঙ্গি ধরা পড়ে। শুক্রবার রাতেই ওই রোগিণীকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। 


ধুপগুড়ি ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ ঘোষ বলেন, ডেঙ্গি বরাবরই স্বাস্থ্য দফতরের চিন্তার কারণ। যেহেতু উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি, গত বছরের মতো এবারও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি দমনে স্প্রে করা বাড়ি বাড়ি ভিজিট চলছে। এখনও পর্যন্ত এই ব্লকে একজনই ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তাঁকে জলপাইগুড়ি রেফার করা হয়েছে। 


যদিও ধুপগুড়ি পুরকর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদের এলাকায় কোথাও ডেঙ্গির মশার লার্ভা মেলেনি। আক্রান্ত তরুণী অসমের বাসিন্দা এবং সেখান থেকেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন।  


ধূপগুড়ি পুরসভা ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ সিংহ বলেন, যখনই আমাদের কাছে খবর এসেছে, তৎক্ষণাৎ এলাকায় ভিজিট করি। যাঁর ধরা পড়েছে তিনি ধূপগুড়ির বাসিন্দা নন। অসম থেকে এসেছেন আত্মীয়ের বাড়িতে গত দুমাস আগে। আমরা এলাকায় গিয়ে পুরোটা ভিজিট করেছি। কোথাও ডেঙ্গির মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। ওই এলাকায় কারোর জ্বর নেই। ডেঙ্গিও ধরা পড়েনি। এবিষয়ে জানতে রোগীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তাঁদের কেউই কোনও মন্তব্য করতে চাননি। 


স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে বর্তমানে ১৫ জন ভর্তি রয়েছেন। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ১৩০ জন শিশুর। ডেঙ্গি রোগীর সন্ধান মিলতেই নতুন উদ্যমে এলাকায় মশা মারার ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। 


আরও পড়ুন: ৯টি ওয়ার্ডে বেড়েছে প্রকোপ, কলকাতায় চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি


আরও পড়ুন: ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া নিয়ে উদ্বেগ, ৮ পুরসভাকে সতর্ক করল স্বাস্থ্য দফতর