কলকাতা: উপনির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। চলতি বছরের মধ্যেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। মহালয়ার আগেই ধূপগুড়িকে মহকুমার করার অভিষেকের সেই প্রতিশ্রুতিতে সিলমোহর দিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিলমোহর পড়ল প্রস্তাবে। (Dhupguri Subdivision)
পায়ে চোট লাগায় এই মুহূর্তে কালীঘাটের বাড়িতে গৃহবন্দি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার সেখানেই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন তিনি। সেখানেই ধূপগুড়িকে মহকুমা করার প্রস্তাব হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ধূপগুড়ি এবং বানারহাট ব্লক নিয়ে তৈরি হবে মহকুমা।
এর পরই তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে অভিষেকের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ হতে চলেছে বলে লেখা হয়। লেখা হয়, 'কথা দিয়ে কথা রাখার নামই তৃণমূল। উপনির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তার বাস্তবায়ন করলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধূপগুড়িকে মহকুমা করার প্রস্তাব পাস হল। এই সিদ্ধান্তে ধূপগুড়ি শহর এবং ধূপগুড়ি গ্রামীণ এবং বানারহাটের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কথা দিয়ে কথা রাখাই উচিত'।
গত ২ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়িতে প্রচারের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ধূপগুড়িতে মহকুমা হিসেবে তৈরি করা হবে। ভোটারদের কথা দিয়ে নিজের আশ্বাস বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। সরাসরি এর প্রভাব পড়ে ভোটবাক্সে। বিজেপি-র থেকে ধূপগুড়ি ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। দলের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় জয়ী হন সেখানে।
অভিষেকের প্রতিশ্রুতি নিয়ে যদিও কম কাটাছেঁড়া হয়নি সেই সময়। দলের সাংসদ হয়ে অভিষেক প্রতিশ্রুতি দেওয়ার, কে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। এমনকি অভিষেক নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগও জমা পড়ে। তবে সমালোচনার ধার ধারেনি তৃণমূল। শেষ মেশ অভিষেকের সিদ্ধান্তেই সিলমোহল দিল মমতার সরকার। এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ভাবেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ ধূপগুড়িকে মহকুমার করার দাবি আজকের নয়। সেই দাবি পূরণ হলে সেখানকার মানুষের কাছে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতাই শুধু বাড়বে না, তৃণমূলের অন্দরেও মমতার উত্তরাধিকারী হিসেবে অভিষেককে ভাবার ক্ষেত্রে কোনও দ্বিধা-দ্বন্দ্বও থাকবে না বলে মনে করছেন অনেকে।