রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ডুয়ার্সের (Duars) গয়েরকাটায় চাকরি-বিতর্কে (Teacher Recruitment Scam) নতুন দাবি করলেন স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষিকা। ওড়ালেন তাঁর হয়ে ছেলের চাকরি করার কথা। মায়ের দাবি, ছেলে স্কুলে এসে পড়ায় না, বাচ্চাদের হাসাতে আসে। গতকাল ছেলে স্বীকার করেছিলেন, মায়ের অসুস্থতার জন্য এসআইয়ের অনুমতি নিয়ে তিনিই পড়াতে আসেন। একই স্কুলে দাদার চাকরি করছেন বোন। এদিন দাদা বা বোন কেউই স্কুলে আসেননি।                                               

  


উল্লেখ্য, মায়ের চাকরিতে প্রক্সি দেওয়া ছেলে প্রীতম বসু বলেন, "আমি এখানে ৬-৭ মাস। আমার মা এখানে প্যারা টিচার (Para Teacher)। ওঁর অসুস্থতার কারণে আমি এখানে ক্লাস করাই।" পূর্ব গয়েরকাটা অ্যাডিশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্ব শিক্ষিকা মণি পাল বসু বলেন, "ক্লাস মানে কী, ওই হাসায়-টাসায় এইগুলো করে।"                                        


মাঝে মাত্র একদিনের ব্যবধান। জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের পূর্ব গয়েরকাটা অ্যাডিশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি-বিতর্কে নতুন মোড়। স্কুলে তাঁর হয়ে ছেলের পড়ানোর কথা নস্যাৎ করলেন মা। অভিযোগ ওঠে, স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষিকা মণি পাল বসুর পরিবর্তে চাকরি করছেন তাঁর ছেলে প্রীতম বসু। একই স্কুলে স্থায়ী শিক্ষক দাদা সুদীপ্তকুমার দে-র বদলে পড়াচ্ছেন তাঁর বোন রূপা দে।                


আরও পড়ুন, 'আস্তে আস্তে ট্র্যাকে ফিরছেন রাজ্যপাল, ভাল লক্ষণ', দাবি শুভেন্দুর


এই বিতর্কেই এবার ছেলের পড়ানোর কথা অস্বীকার করলেন পার্শ্ব শিক্ষিকা মা। সাংবাদিককে মা জানান যে, ক্লাস করে না ও। ও কী বলে, না বলে, ওর কথা ছাড়ুন। অথচ, চাকরি-বিতর্কে রবিবার চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি করেন পার্শ্ব শিক্ষিকার ছেলে। দাবি করেন, মায়ের অসুস্থতার কারণে স্কুল ইন্সপেক্টরের অনুমতিতেই তিনি স্কুলে পড়াচ্ছেন।              


বিতর্ক মাথাচাড়া দিতেই সোমবার স্কুলে হাজির হন পার্শ্ব শিক্ষিকা। একই স্কুলে দাদার বদলে পড়ান বোন। এদিন দাদা বা বোন কেউই স্কুলে আসেননি। শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ডুয়ার্সের স্কুলের প্রক্সি শিক্ষক বিতর্ক। স্থানীয় বাসিন্দারা কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রশাসনকেই। সোমবার জেলাশাসকের দফতরে যান জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান লক্ষ্যমোহন রায়। তবে প্রক্সি শিক্ষকের চাকরি বিতর্কে তিনি মুখ খুলতে চাননি।