সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম বিকৃত করার অভিযোগে ফের পথে মতুয়ারা। মুখ্যমন্ত্রীর ভুল উচ্চারণের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মতুয়াদের। কেষ্টপুরে ভিআইপি রোডে বিক্ষোভ মতুয়াদের। যা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। হাবড়াতেও পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ মতুয়াদের। 


অশোকনগর-হাবড়া বাইপাস অবরোধ করে বিক্ষোভ মতুয়াদের। আধঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। 


ইতিমধ্যেই মুখ্য়মন্ত্রীর মতুয়া-ধর্মগুরুর নামের ভুল উচ্চারণের ঘটনায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি পাঠিয়েছে ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডিউল কাস্টস্। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশ। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছে বিজেপি। যদিও পাল্টা এই ইস্যুতে রাজনীতির চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। 


আরও পড়ুন, মৃত মায়ের দেহ পড়ে ঘরে, 'নির্বিকার মেয়ে', দুর্গন্ধে ঘটনা প্রকাশ্যে


প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মালদায় প্রশাসনিক সভায় বক্তব্য রাখার সময়, মতুয়াদের ধর্মগুরুর নাম উচ্চারণে ভুল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, 'ইউনিভার্সিটি করা হয়েছে কৃষ্ণনগরে, ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস, এবং রঘুচাঁদ-গরুচাঁদ...তাই তো নামটা...ঠিক বললাম কী?' পরে তা স্বীকারও করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি একটা ভুল করেছি। তাও কত ট্রোল!            


তবে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশ।  সোমবারও বামনগাছি চৌমাথায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সদস্যরা।


এর আগে এক সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলে, ১৫ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযান হবে। ধর্মগুরুর নামের ভুল উচ্চারণের প্রতিবাদে, হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মতুয়া পরিষদ। আহ্বায়ক সুকেশ চৌধুরী বলেছিলেন, 'এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী যে বাড়িতে একাধিকবার গেছেন তিনি জানেন, তারপরও তিনি ভুল করে বলেছেন আমরা বিশ্বাস করি না। ইচ্ছাকৃতভাবে তাচ্ছিল্য অবজ্ঞা সুরে তিনি বলেছেন।' 


একই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারীও। যদিও মতুয়ারা তৃণমূলের সঙ্গেই আছে, এমনটাই দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ।