কলকাতা: কয়েকদিনের ব্য়বধানে শহরে ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। নাগেরবাজারের (Nagerbajar Fire) কাছে গেঞ্জি ও আইসক্রিমের কারখানায় বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে যায় ২০টি ইঞ্জিনের। আর কারখানায় আগুনের জেরে শঙ্কায় কর্মীরা।
অগ্নিকাণ্ডের জেরে শঙ্কায় কর্মীরা: আকাশজুড়ে কালো ধোঁয়া। দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। রবিবারের পর শুক্রবার, ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। শেডের নীচে পরপর গ্রসারি, ওষুধ, গেঞ্জির গোডাউন। ভোররাতে আগুনের লেলিহান শিখায় সব পুড়ে ছাই। সেই সময় গোডাউনে কেউ না থাকায় প্রাণে বেঁচেছেন, কিন্তু কাজটা কী বাঁচাতে পারবেন? কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কায় চোখে জল কর্মীদের। রাতে গেঞ্জির গোডাউনের পাশেই ছোট একটি ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন কয়েকজন কর্মী। ভোররাতে চোখের সামনে ভস্মীভূত হয়ে গেল রুটিরুজি। কীভাবে ঘটল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড? পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা কি ছিল? খতিয়ে দেখছে দমকল। কোনও গাফিলতি থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
কী বললেন দমকলমন্ত্রী?
দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, "তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি বলতে পারব না। আরও কিছু গোডাউনও ছিল। কাজের জায়গায় টিন পড়ে গিয়েছে। কী কারণে এখনই বলা সম্ভব নয়। এই কয়েকদিনে যে কটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তাতে আমরা কয়েকটার তদন্ত করেছি। কিছউ কারখানা বন্ধও করে দিয়েছি। ব্যবসা করছে করুক। কিন্তু ব্যবসা করতে গেলে দমকলের যে নিয়ম আছে তা মেনে করতে হবে। যদি অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ না থাকে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।''
ডেবরায় অগ্নিকাণ্ড: এদিনই রাজ্যের আরেক প্রান্তেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় পুড়ে ছাই হয়ে যায় তিনটি দোকান। এদিন ভোরে আচমকা আগুন লেগে যায় বালিচকে রাস্তার ধারের তিনটি দোকানে। স্থানীয়রাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। খবর দেওয়া হয় দমকল ও পুলিশে। পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Arambagh Water Logging: রাতভর বৃষ্টি, জমা জলে দুর্ভোগ আরামবাগের বাসিন্দাদের