কলকাতা: কম্বল বিতরণ কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকে জামিন পেলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। 'তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। কোনও সাক্ষীকে হুমকি দেওয়া যাবে না। শুনানির দিনে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। কোন তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা যাবে না', আসানসোল পুরসভা এলাকায় প্রবেশ করবেন না জিতেন তিওয়ারি', নির্দেশ দিল আদালত।  


 প্রসঙ্গত, গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। হুড়োহুড়ির মধ্যে প্রাণ যায় তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী-সহ তিন জনের। স্থানীয়দের দাবি, গতকাল কম্বল বিলি অনুষ্ঠানে আসানসোল পুরসভার প্রায় ৫টি ওয়ার্ড থেকে লোক এসেছিল। শুভেন্দু অনুষ্ঠানস্থল ছাড়তেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। উদ্যোক্তাদের তরফে ব্যবস্থাপনায় গাফিলতি ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় সকলেই শুভেন্দুর সঙ্গে সভাস্থল ছাড়েন। 


২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন, স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর ও পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি, যিনি জিতেন্দ্রর স্ত্রী।  ওই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরই হুলস্থুল বাধে বলে জানা যায়। ওই ঘটনায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গত ১৮ মার্চ, উত্তরপ্রদেশের নয়ডা থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। 


অপরদিকে, সম্প্রতি তিনি রাজ্যের শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় করলেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেছিলেন, ' আপনারা চক্রান্ত করছেন। আপনারা আমাকে মেরে ফেলতে চাইছেন। আরও চামচাবাজি করুন টিএমসি-র। চামচা কোথাকার টিএমসি-র।' মার্চের মাঝামাঝি, কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু মামলায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে পথে নামে বিজেপি। আসানসোলে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা।


আরও পড়ুন, রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, অনুব্রত গড়ে সভা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর


তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলছেন, মাঝে তিনি এই ব্যাপারটা নিয়ে একাধিকবার আইনি নানা জটিলতা সৃষ্টি করেছিলেন জিতেন্দ্র। তাই এই বিলম্ব। তদন্ত সাড়া দিচ্ছিলেন না সহযোগিতা করছিলেন না মাঝে। বদলার রাজনীতি নিয়ে ফিল্মের ডায়লগ অন্য জায়গায় দেখাবেন। পালিয়ে কি অপরাধ করেছেন। যদিও গতমাসেই  চৈতালি বলেছিলেন, 'আমার বিপদের দিনে বিজেপি পরিবার সঙ্গে। সবাইকে ধন্যবাদ। আসানসোলবাসীকে ধন্যবাদ। আইনে আস্থা রাখি। নিশ্চয়ই সত্যের জয় হবে। খুব তাড়াতাড়ি আমার স্বামী ফিরে আসবে।' বলতে গেল, নববর্ষের আগে ঘুরে গেল, মিলে গেল চৈতালির কথা।