সুকান্ত দাস, জয়ন্ত পাল ও গৌতম মণ্ডল, কলকাতা : যাদবপুরের (Jadavpur University) পড়ুয়ার মৃত্য়ুতে গ্রেফতার একের পর এক পড়ুয়া এবং প্রাক্তনী। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর অনেকে আবার হস্টেল থেকে বাড়ি চলে গিয়েছিল। পুলিশ কলকাতার বাইরে থেকে গ্রেফতার করে তাদের। যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University Student Death) ফুটছে সারা রাজ্য দোষীদের শাস্তির দাবি দিকে দিকে। এই পরিস্থিতিতে মনে অবস্থা কেমন ধৃত ছাত্র বা প্রাক্তনীদের পরিবারের ? 


যাদবপুরের (JU Student Death) পড়ুয়ার মৃত্য়ুতে গ্রেফতার একের পর এক পড়ুয়া এবং প্রাক্তনী। এই পরিস্থিতিতে কী বলছে তাদের পরিবার ? দোষ করলে তাঁর ছেলেরও শাস্তি হোক, বলছেন ধৃত অঙ্কন সরকারের মা। ক্য়াম্পাস থেকে র‍্যাগিং-রোগ নির্মূল করার পক্ষেই জোরাল সওয়াল করেছেন আরেক ধৃত সুমন নস্করের দিদি।  


'দোষ করলে ছেলেরও শাস্তি হোক'


দেশের অন্য়তম সেরা বিশ্ববিদ্য়ালয়। সেই যাদবপুরের এক পড়ুয়ার মৃত্য়ুতে, র‍্যাগিংয়ের মতো জঘন্য় অভিযোগ ঘিরে, তোলপাড় চলছে। গ্রেফতার হচ্ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়েরই একের পর এক পড়ুয়া এবং প্রাক্তনী। বুধবার অবধি ধৃতের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ৯। এর মধ্য়ে রয়েছেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অঙ্কন সরকার। অঙ্কনের মা বলছেন, দোষ করলে তাঁর ছেলেরও শাস্তি হোক। 'সে যদি দোষ করে থাকে তাহলে অন্যায়ের শাস্তি হবে।' 


'রোগ নির্মূল করতে হবে'


ধৃতদের মধ্য়ে আছেন যাদবপুরের প্রাক্তনী সুমন নস্কর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের বাসিন্দা সুমনের দিদিও যাদবপুরের প্রাক্তনী। এই ঘটনায় ভাইয়ের গ্রেফতারির পর, তিনি ক্য়াম্পাস থেকে র‍্যাগিং-রোগ নির্মূল করার পক্ষেই জোরাল সওয়াল করেছেন। তিথি বলেছেন, 'এই রোগ নির্মূল করতে হবে। চিরতরে বন্ধ হোক। কর্তৃপক্ষকে দেখতে হবে।' ধৃতের বাবা বললেন, ছেলে অপরাধ করলে উপযুক্ত শাস্তি হবে। 


'সঙ্গ দোষে হতেও পারে'


যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বাছাই করা ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে, সন্তানকে পড়তে পাঠানো যে কোনও মা-বাবার কাছেই স্বপ্ন। তবে পড়ুয়া-মৃত্য়ুর ঘটনায়  ধৃত অসিত সর্দারের পরিবার  অবশ্য় বলছে, যাদবপুরে গিয়ে সঙ্গদোষেই তাঁর এই পরিণতি। ধৃতের জেঠু গৌর সর্দার বলছেন, 'ছেলে এরকম ছিল না। সঙ্গ দোষে হতেও পারে।' 


পড়ুয়া এবং প্রাক্তনীদের একাংশ যখন গ্রেফতার হচ্ছেন, তখন বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, দিনের পর দিন এদের প্রশ্রয় দিয়েছে কারা? কর্তৃপক্ষের অজান্তে কি এটা চলতে পারে? তাই স্রেফ পড়ুয়া নয়, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কেন শাস্তি হবে না, সেই প্রশ্নও উঠছে বিভিন্ন মহলে। 


আরও পড়ুন :


 রাতে কী ঘটেছিল মেন হস্টেলে? গেটে কে তালা লাগিয়েছিলেন? পুঙ্খানুপুঙ্খ জানালেন নিরাপত্তা রক্ষী