কলকাতা: ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের (Junior Doctors Hunger Strike) ৮দিন। অসুস্থ অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসক পুলস্ত্য আচার্য। এনআরএস হাসপাতালের পিজিটি পুলস্ত্য আচার্যকে নিয়ে যাওয়া হল তারই হাসপাতালে। 


অসুস্থ আরও এক অনশনকারী: প্রথম যে জন জুনিয়র চিকিৎসক অনশনে বসেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম পুলস্ত্য আচার্য। টানা ১৯৬ ঘণ্টা অনশন করছেন তিনি। অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের প্রথম বর্ষের পিজিটি পুলস্ত্য আচার্য। এনআরএসের অধ্যক্ষ তরফে জানা গিয়েছে, ইউরিনে কিটোনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে বমি বমি ভাব পুলস্ত্য আচার্যের। একইসঙ্গে পেট ব্যথা, মাথা ঘুরতে থাকে তাঁর। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয় NRS মেডিক্যাল কলেজে। হাসপাতাল সূত্রে খবর পুলস্ত্য আচার্যের জন্য রাখা আছে নির্দিষ্ট সিসিইউ। এনআরএসের নেফ্রোলজি, কার্ডিওলজি, মেডিসিন, চেস্ট মেডিসিন, অ্যানাস্থেসিয়ার চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। 


শনিবার অসুস্থ হয়ে পড়েন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের পোস্ট ডক্টরাল ট্রেনি অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়। পেটে ব্যথা ও রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ায় শনিবার রাত ১১ নাগাদ অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যালে। বর্তমানে CCU-তে রয়েছেন অনুষ্টুপ। অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের প্রধানের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ৮ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে এবং অনুষ্টুপের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। অসুস্থ ছেলেকে দেখতে ডানকুনির বাড়ি থেকে এসেছেন বাবা। নিহত নির্যাতিতার মা বলেন, "ওরা যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে তার জন্য আমরাও খুব ব্যথিত,দুঃখিত। আমার একটা মেয়েকে হারিয়েছি। আমি হারাতে চাই না আর কাউকে। প্রশাসনিক যে প্রধান তাঁকে বলব, ওরা তো খুব কষ্টে আছে। তাই যেন তাড়াতাড়ি। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে যাতে সমস্যার সমাধান হয় তার দিকে হস্তক্ষেপ করার জন্য।'' রবিবার অনুষ্টুপকে দেখতে হাসপাতালে আসেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা অনিরুদ্ধ নিয়োগী। 

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও একই ছবি। ধর্নামঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সাইকিয়াট্রি বিভাগের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি আলোক ভার্মা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,আলোকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত, স্যালাইন চলছে। আলোককে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁদের দু'জনকে দেখতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে যান বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনের যৌথমঞ্চ ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, FEMA-র প্রতিনিধিরা। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একের পর এক সহযোদ্ধা, তবু ১০ দফা দাবিতে লড়াই চালিয়ে যেতে মরিয়া জুনিয়র ডাক্তাররা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Doctors Protest: 'আইন মেনেই আন্দোলন' দ্রোহের কার্নিভাল প্রত্যাহারের অনুরোধে পাল্টা চিকিৎসকরা