করুণাময় সিংহ, কালিয়াচক: মালদা জেলায় (Malda district) ফের কংগ্রেসের (Congress) গঠন করা একটি পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল (TMC)। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচকের এক নম্বর ব্লকের সিলামপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। ২০২৩ সালে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat) ১৫টি আসন জিতে এককভাবে বোর্ড গঠন করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু, এক বছরের মধ্যেই ওই পঞ্চায়েতের নির্বাচিত প্রধান ও উপপ্রধান সহ ৬ জন কংগ্রেস সদস্য যোগ দিলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলে। তাঁদের সঙ্গে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন ওই পঞ্চায়েতের একমাত্র সিপিএম সদস্যও। সাতজন জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যের দলবদলের ফলে বোর্ডের দখল গেল তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে।
বৃহস্পতিবার মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সির হাত ধরে কংগ্রেসের প্রধান ও উপপ্রধান সহ ৬ জন সদস্য এবং সিপিএমের একজন সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে দলবদল করলেন।
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল যোগদান প্রসঙ্গে সিলামপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মাইউল ইসলাম জানান, কংগ্রেস দলে থেকে কোনও কাজ করতে পারছিলেন না। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার মনোভাব নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেছেন।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, আজ থেকে এই গ্রাম পঞ্চায়েত আমরা দখল করলাম। বিজেপি চক্রান্ত করে রাজ্যটাকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ঠিক তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে সমর্থন করে আজ এই যোগদান শিবির।
পাল্টা আক্রমণ করে মালদা জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেন, কে দল ছেড়ে গেল সেই বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিই না। কারণ, সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ওদের কাজ করতে দিচ্ছিল না। আর কাজ না করলে দুর্নীতি করতে পারছিল না ওরা। তাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিলামপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২১। ২০২৩ সালে হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছিল ১৫টি আসন, তৃণমূল ৫টি ও সিপিএম একটি। জয়ী সদস্যদের ভোট প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন কংগ্রেসের ফিরোজা খাতুন ও উপপ্রধান মাইউল ইসলাম। বৃহস্পতিবার সাতজন জয়ী সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় তাদের আসন সংখ্যা বেড়ে হল ১২। বোর্ডের দখলও গেল তাদের হাতে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।