সন্দীপ সরকার, কলকাতা: রাজ্যে (West Bengal) অ্যাডিনো (Adeno Virus)-আতঙ্কের মধ্যেই বি সি রায় হাসপাতালে (B C Roy Hospital) বাড়ছে শিশু মৃত্যু (Child Death)। বি সি রায় হাসপাতালে ফের ২ শিশুর মৃত্যু। জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া ২ শিশুর মৃত্যু । মঙ্গলবার জ্বর, নিউমোনিয়া (Pneumonia) নিয়ে ভর্তি হয় বনগাঁর ৪ মাসের শিশুপুত্র। রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে, আজ ভোররাতে মৃত্যু হল আরমান গাজির। অন্যদিকে, প্রাণ গেল মেটিয়াবুরুজের ১ বছর ৭ মাসের শিশুকন্যার। ৮ দিন আগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয় মেটিয়াবুরুজের আতিফা খাতুন। ভর্তি ছিল এইচডিইউ-তে, আজ ভোরে মৃত্যু।
কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না শিশুদের মৃত্যু, থামছে না কান্নার রোল। কোল খালি হয়ে যাচ্ছে একের পর এক মায়ের। ভয়াবহ অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্যে বি সি রায় হাসপাতালে মৃত্যু আরও বাড়ছে। এরই মধ্যে শনিবার হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে মেজাজ হারালেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী।
অ্যাডিনোভাইরাসকে (Adenoviruses) ঘিরে উদ্বেগ গোটা রাজ্যে। সেই আবহে সাংবাদিক বৈঠক করে আশ্বাসবাণী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। তাঁর বক্তব্য, "১২টি কেসের মধ্যে মাত্র দুই ক্ষেত্রে অ্যাডিনোভাইরাসের হদিশ। ভয় পাওয়ার কারণ নেই। ৫ হাজার বেড তৈরি আছে। চিকিৎসার জন্য ৬০০ চিকিৎসক রেডি। এটা ঋতুভিত্তিক সংক্রমণ, যার সংখ্যা ক্রমে কমছে।
আরও পড়ুন, 'অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে আমার ছেলে, ক'জন পারে', কৌস্তভের গ্রেফতারিতে গর্বিত মা-বাবা
বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বাস দেন, সমস্তরকম ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শিশুমৃত্যুর ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ হিসাবে দেখা যাচ্ছে কম ওজন বা প্রিম্যাচিওর বেবির জন্ম। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে প্রচুর এসএনসিইউ, পিকু, নিকুর ব্যবস্থা রয়েছে। পরিকাঠামোর কোনও অভাব রাখা হয়নি। মুখ্য়মন্ত্রী এদিন বলেন, শীত বিদায়ে গরম পড়ছে। এই বদলের মরসুমে প্রতি বছরই শিশুদের শরীরে সমস্যা দেখা দেয়। জ্বর, সর্দি, কাশি হয়। ঘাবড়ে না গিয়ে আরও বেশি করে বাড়ির লোকজনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।