কলকাতা: ভরা উৎসবের মাঝে ফের কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু (Dengue Death)। এবার মৃত্যু হল ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা  মামনী নস্করের। সন্তোষপুরের বাসিন্দা বছর ৪৫-এর ওই মহিলা ইএম বাইপাসের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন চতুর্থীর দিন। আর পঞ্চমীর দিন তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মাত্র ১৭ ঘণ্টা ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। এনিয়ে বেসরকারি মতে, ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৫। 


সম্প্রতি ভরা পুজোয় চোখ ভিজেছিল শহর কলকাতার এক পরিবারের। ডেঙ্গিতে একরত্তিকে হারিয়েছিল পার্কসার্কাসের পরিবার। মূলত গত কয়েকমাসে মূলত যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল, তা হল বর্ষা। বৃষ্টির জমা জল খলনায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু বর্ষা চলে গেলেও পিছু ছাড়েনি ডেঙ্গি। মাত্র ২ মাস হয়েছিল , পৃথিবীর আলো দেখেছিল সে। তবে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে চলে যেতে হয় তাঁকেও। জানা যায়, ওই শিশুর বয়স ছিল মাত্র ২ মাস। ২৯ সেপ্টেম্বর জ্বর নিয়ে ভর্তি করা হয়েছিল পার্ক সার্কাসের ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ-এ। পরদিনই ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পিআইসিইউ-তে দেওয়া হয় ডেঙ্গি আক্রান্ত শিশুকে। 


অপরদিকে, সদ্য ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিল দমদম পুরসভা এলাকার এক বাসিন্দা। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই যুবক। মৃতের ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ ছিল। ডেঙ্গি নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছিল কলকাতা তথা বঙ্গে। চলতি মরশুমে আক্রান্তের নিরীখে প্রথম স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা, দ্বিতীয় কলকাতা। তিন নম্বর স্থানে মুর্শিদাবাদ।যদিও সম্প্রতি এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদের কথায়, 'ডেঙ্গি হল ন্যাচেরাল ক্যালামেটি (Natural Calamity)। ডেঙ্গি এই পরিস্থিতিতে আমরা যেখানে থাকি, সেখানে আছে। থাকবে। ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গি ১০০ বছর আগেও ছিল। ১০০ বছর পরেও থাকবে।'


আরও পড়ুন, '৩ CID আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তে CBI..', ট্যুইট শুভেন্দুর


কলকাতার মেয়র আরও বলেছিলেন,'  যেখানে আমাদের এই শহরে আদ্রতায় ভরা আবহাওয়া, সেখানে বাংলায় সবথেকে ভাল ব্যবস্থা হয়েছে। তবে এমন অনেক জায়গা আছে, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাগুলিতে, আদালতের চত্বরেও ডেঙ্গির লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে,  সেই কারণ আমাদের একটু অসুবিধা হচ্ছে। ডেঙ্গি এখনও অত্যন্ত নিয়ন্ত্রণে, এবং তার কৃতিত্বটা স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।'