সমীরণ পাল : বিজেপির মিছিল (BJP Rally) ঘিরে ধুন্ধুমার দমদম রোডে। চিড়িয়ামোড়ে পথ অবরোধ বিজেপির। দমদম রোডে মিছিলে বাধা দেওয়ায় পথ অবরোধ বিজেপির। অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা, ধস্তাধস্তি। যা থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।


উত্তর কলকাতার বিজেপি-র তরফে অভিযোগ করা হয় তৃণমূলের সন্ত্রাসের। তাঁদের অভিযোগ ছিল, যে কোনও কর্মসূচি করতে গেলেই শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে তাদের বাধার মুখে পড়তে হয়। পড়তে হয় তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। প্রথমে দমদম রোডে মিছিল করতে গিয়েও তৃণমূল (TMC) সমর্থকদের বাধা দেয় বলেই অভিযোগ। তারা ঘুরে বিটি রোড ধরে চিড়িয়ামোড়ের কাছে এলে পুলিশের পক্ষ থেকে মিছিল আটকানো হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশ (Police) বাধা দিলে চিড়িয়ামোড়ে পথ অবরোধ শুরু করে বিজেপি। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি, বচসা। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ হটিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীদের। উত্তর কলকাতার ভারপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা তমোঘ্ন ঘোষ ১১ জনকে আটক করা হয়। 


আরও পড়ুন- 'একটা বুথেও স্থান দেবেন না' এবার বিরোধীদের 'ঝাঁটাপেটা' দাওয়াই তৃণমূল বিধায়কের


গত সপ্তাহেই বালুরঘাটে আদিবাসী মহিলাদের (Tribal Women) দণ্ডি দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির (BJP) মিছিল করেছিল। যেখানেও উঠেছিল হুগলির চুঁচুঁড়ায় (Chunsura) বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল। থানায় স্মারকলিপি দিতে গেলে আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি। শেষপর্যন্ত বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল থানায় গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে আসে। দণ্ডিকাণ্ডের প্রতিবাদে বালুরঘাটে (Balurghat) মিছিল (BJP Rally) করল বিজেপি যাতে অংশ নিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh)। সেখান থেকেই সুকান্ত বলেন, 'দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অবিলম্বে এসসি (sc), এসটি (ST) অ্যাক্টে এফআইআর দায়ের করা উচিত ছিল। ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছি।'বালুরঘাটের মিছিল থেকে দণ্ডিকাণ্ডে সুর চড়িয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গতমাসের শেষে রাজ্যের কৃষকদের আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আজ পথে নামছে বিজেপি বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় আসছেন রাজ্য বিজেপির কিষাণ মোর্চার সদস্যরা। বেলা ১২টায় কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু হবে। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।