সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: সিন্ডিকেট-বিবাদে রাতের কলকাতায় গুলি চলার অভিযোগ (Entally Firing)। জখম মূক ও বধির এক ব্যক্তি (Elderly Man)। এন্টালি থানা এলাকার পটারি রোডের ঘটনা। আহত রতন সাধুখাঁকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় এক মহিলার দাবি, তাঁর দাদা ও হামলাকারী দু’ জনেই তৃণমূল কর্মী ও ইমারতির ব্যবসায় জড়িত।
রাতের কলকাতায় ফের গুলি চলার অভিযোগ
ওই মহিলা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে মোটরবাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার সময়, তাঁর দাদাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান ওই কর্মী। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তির গায়ে লাগে। রাতে ঘটনাস্থলে যান ডিসি ইএসডি প্রিয়ব্রত রায়। গুলি চলার অভিযোগ খতিয়ে দেখছে এন্টালি থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। মোটর সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন এক তৃণমূল কর্মী। সেই সময় আর এক তৃণমূল কর্মী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। সেই সময় বাড়ির বাইরে ছিলেন মূক ও বধির এক বৃদ্ধি। তাঁর নাম রতন সাঁধুখা। বয়স ৬৩ বছর। তাঁর পেটে গুলি লাগে। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়েন তিনি।
এর পর এন্টালি থানায় খবর দেন স্থানীয়রাই। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এর পর পুলিশ এবং স্থানীয়দের তৎপরতায় ওই বৃদ্ধকে তড়িঘড়ি এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মুহূর্তে সেখানে চিকিৎসাধীন ওই বৃদ্ধ। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তবে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশের তরফে গুলি চলার ঘটনা স্বীকার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কথা বলা হচ্ছে স্থানীয়দের সঙ্গে। কী কারণে গুলি চলল, তা জানার চেষ্টা চলছে। এমনকি ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোলও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আহতের দাদা জানিয়েছেন, চাবি নিয়ে দোকানে ঘুমাতে আসছিলেন রতন। সেই সময় গুলি লাগে। মূক ও বধির ওই বৃদ্ধ নির্বিবাদী। তাঁর সঙ্গে কারও বিবাদ ছিল না। অন্যের বিবাদের মাঝে পড়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হন বলে অভিযোগ পরিবারের। যাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে এবং যিনি গুলি চালান, তাঁরা দু'জনই ইমারতি ব্যবসায়ী এবং দু'জনই তৃণমূল করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মূক ও বধির বৃদ্ধ গুলিবিদ্ধ হওয়ায় আতঙ্ক এলাকায়
এ নিয়ে এন্টালি থানার পুলিশ জানিয়েছে, গুলি চালানোর অভিযোগ মিলেছে। একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কী কারণে গুলি চলল, আদৌ গুলি চলেছে নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।