রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : পাত্র 'ইডি অফিসার'। আলাপ সোশ্যাল মিডিয়ায়। আলাপচারিতা সম্পর্ক অবধি গড়াতে সময় নেয়নি। তারপর বিয়ের দিকে মোড় নেয় সেই সম্পর্ক। কিন্তু তারপর জানা গেল, সে-পাত্রের সঙ্গে ইডির দূর-দূরান্ত পর্যন্ত কোনও সম্পর্কই নেই। আর তারপর যে পাত্র আশা করে বসেছিলেন , বিয়েই নামিদামি যৌতুক পাবেন, তাঁর কপালে জুটল বেদম মার ! 


মঙ্গলবার ইডি অফিসের বাইরে দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য। সেই ভুয়ো 'ইডি অফিসার' পাত্রকে হাতের নাগালে পেয়ে বেধড়ক মার দিল উত্তেজিত জনতা। মারতে মারতে রক্তাক্ত অবস্থা হল তার। এরপর অভিযুক্তকে গাড়িতে করে নিয়ে চলে যায় অভিযোগকারীরা। 


মঙ্গলবার দুপুরে এমনই বেনজির ঘটনার সাক্ষী রইল ইডি অফিসের আসে পাশে কাজে আসা মানুষজন।  হাত বাধা ও গলায় ইডির ভুয়ো আই কার্ড !  তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে বেশ কিছু উত্তেজিত মানুষ । তঁদের অভিযোগ নিজেকে ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি তাদের পরিবারের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করে। তারপর বিয়ে করার ফন্দি আটে। এমনকী অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই পরিবারের থেকে টাকাও আদায় করেছে বলে দাবি  অভিযোগকারীদের। ইডি অফিসের সামনেই অভিযুক্তকে  বেধড়ক মারধর করে তারা।  


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম প্রদীপ সাহা। তিনি সোনারপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ, বিরাটির বাসিন্দা একটি মেয়ের সঙ্গে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে যোগাযোগ হয়।  এরপর তাঁদের মধ্যে পরিচিতি বাড়ে। অভিযুক্ত প্রদীপ সাহা নিজেকে ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে মেয়েটিকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। এমনকী মেয়েটির সঙ্গে বিয়ের কার্ড পর্যন্ত ছাপা হয়ে গিয়েছিল।


এরপর ওই ব্যক্তির কথাবার্তায় মেয়েটির পরিবারের লোকেদের সন্দেহ হয়। তখন তাঁরা ইডি দফতরে এসে প্রদীপ সাহার সম্বন্ধে খোঁজ নিলে জানতে পারেন ওই নামে কেউ ইডি অফিসে কাজ করে না।  এরপরই মঙ্গলবার প্রদীপ সাহাকে বেঁধে নিয়ে তারা উপস্থিত হয় ইডির অফিসে।  বাইরে অভিযুক্ত প্রদীপ সাহাকে মারতে থাকে তারা। পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে উঠছে বুঝতে পেরে রক্তাক্ত অবস্থায় অভিযুক্তকে গাড়িতে করে নিয়ে তারা চলে যায় ইডি অফিসের সামনে থেকে ।                   


আরও পড়ুন: রাম লালার অদেখা ছবি! সাজানোর আগে কেমন ছিল দেখতে? দেখালেন খোদ শিল্পী