সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: সৌরনীলের স্মৃতির এখনও রেশ মেলায়নি। আর তারই মধ্যে ফের এল মর্মান্তিক খবর (Accident)। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় স্কুলে যাওয়ার পথে লরির চাকায় পিষ্ট হল নার্সারির ছাত্র (Student Death)। ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার।
উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকার নহাটাতে একটি বেসরকারি স্কুলে যাবার পথে পিছন থেকে এসে একটি লরি ধাক্কা মারে নার্সারি-র ছাত্র। গুরুতর আহত অবস্থায় বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনার পরে পরিবারের পক্ষ থেকে ঘাতক গাড়ির চালকের শাস্তির দাবি জানিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। ঘটনার পরে ঘাতক গাড়িকে আটক করেছে গোপালনগর থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সচেতনতা বাড়িয়ে দিতে, সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে উদ্যোগের শেষ নেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের। তারপরেও বারবার দুর্ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে আসছে। সদ্য সৌরনীলকে হারিয়েছে শহর কলকাতা। এখনও আকাশে বাতাসে মা ও ছেলের মধ্য়ে কথোপকথন ভাসছে। জল শুকনো চোখে মা মনে করছে দুর্ঘটনার আগে তার ছোট্ট ছেলেটা কী বলছিল ? ইতিমধ্য়েই সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু সৌরনীলের এই মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই এক সমুদ্র প্রশ্ন তুলে ধরেছে। আর সৌরনীলের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে শহরে মৌন মোমবাতি মিছিল করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীরা (Suvendu Adhikari) ।
মূলত সম্প্রতি বেপরোয়া লরিতে পিষে সাত বছরের ফুটফুটে শিশু সৌরনীলের মৃত্য়ুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ ছিল শহর। এদিকে ওই দুর্ঘটনা যে মাসে হয়েছিল, সেই মাসের ২৫ তারিখই ছিল তাঁর জন্মদিন। কিন্তু,তার আগেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তাকে। এই ঘটনার পর স্থানীয়দের রোষ আছড়ে পড়েছিল পুলিশের ওপর। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন নিহত শিশুর সকুলের প্রধান শিক্ষকও।
গতবছরের শেষে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় (Accident) দুটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছিল এক একাদশ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রের। পাশাপাশি এই ঘটনায় এক মহিলা-সহ দুজন মারাত্মকভাবে জখম হয়েছিল। তাঁদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল দেগঙ্গার সোহাই নুনিয়াটি মোড়ে বেলেঘাটা ইছাপুর রোডের উপরে। সেবার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, ইছাপুরের দিক থেকে মোটরসাইকেলে করে ওই স্কুল ছাত্র বেলেঘাটার দিকে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন, নরেন্দ্রপুরকাণ্ডে 'কাউকে গ্রেফতার সম্ভব হয়নি..', বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপারকে তলব হাইকোর্টে
অপরদিকে একজন মহিলাকে নিয়ে আরেকজন বাইক আরোহী ইছাপুরের দিকে যাচ্ছিল। নুনি আটি মোড়ে দুটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আর তখনই রাস্তার উপর পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছিল ওই স্কুল ছাত্রের। মৃত ছাত্রের নাম রবিউল খান(১৯)। তিনি নুর নগরের খেজুরডাঙ্গার বাসিন্দা। স্থানীয়রা ছুটে এসে আহত দুজনকে উদ্ধার করে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হতেই বারাসাত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।