কলকাতা : করোনা (Corona) আবহেও বন্ধ হল না কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব (Kolkata Dilm Festival)। সিনেপ্রেমীদের জন্য সুখবর শুনিয়ে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, শুক্রবার থেকে টানা ১ সপ্তাহ চলবে ২৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। পাশাপাশি এবারের কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে ১৬০টি সিনেমার ২০০টি শো আয়োজন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে রাজ্যজুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, এই কোভিড আবহে কীভাবে উৎসব? প্রশ্নে ৫০% আসনের যুক্তি আয়োজকদের।


পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, অনেক আগের সিদ্ধান্ত চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন, এবারের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই কাটছাঁট করে উৎসব। এদিকে অরিন্দম শীলের দাবি, এটা তো সরকারের সিদ্ধান্ত। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আসুন সবাই মিলে সাবধানে উৎসব পালন করি।


রাজ্যজুড়ে করোনার সংক্রমণের আগ্রাসী আস্ফালন দেখার পরই সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে জারি হয়েছে একাধিক কঠোর বিধি নিষেধ। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বিউটি পার্লার, স্পা, সেলুন, জিম আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্ন-র তরফে। যদিও রাজ্যের প্রশাসনিক দফতরের পক্ষ থেকে ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে সিনেমাহল খোলা রাখার নির্দেশ রয়েছে রাত ১০ টা পর্যন্ত। রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত লাগু থাকছে নৈশকালীন বিধিনিষেধ।


এদিকে, করোনা সংক্রমণ রুখতে কলকাতায় ফিরল মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন (Containment Zone)। কলকাতার মোট ২৫টি এলাকাকে চিহ্নিত করে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে পুরসভা। ৪১টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন আছে হাওড়া জেলায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর-সোনারপুরের ১৮টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। ব্যারাকপুর পুরসভা এলাকায় গত তিনদিনে ৩০ জনেরও বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ব্যারাকপুরে ১৭টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। যাঁদের বাড়িতে করোনা আক্রান্ত রয়েছেন, তাঁদের বাড়ির লোককে নিষেধ করা হয়েছে বাইরে বেরোতে।


আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্ত গরিবদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নবান্নের, বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেবে পুলিশ