রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: অভিষেকের স্ত্রীকে তলব দিনেই মমতার পাল্টা এবার দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মূলত,  একের পর এক মামলায় জর্জরিত শাসকদলের হেভিওয়েটরা। যার জেরে চলছে জোর তল্লাশি। আর এই ইস্যুতেই 'সিবিআই এবার বাথরুমেও যাবে', সিবিআই তদন্তকে কটাক্ষ মমতার (Mamata Banerjee)। আর এবার তীব্র আক্রমণ শানিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'বাথরুম-বেডরুম সব জায়গায় যাবে CBI'।


অভিষেকের স্ত্রীকে ইডির তলব


অভিষেকের স্ত্রীকে ইডির তলব প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'সিবিআই ইডি ডাকছে এটা নতুন কথা নয়। খবর এটা কতজন গ্রেফতার হচ্ছে। জাল গোটানো হচ্ছে। গ্রেফতারের খবরও আমরা পাব। ডাকাডাকি তো চলবে।' প্রসঙ্গত,  কয়লা পাচার মামলায় ( Coal Smuggling Case ) বৃহস্পতিবার রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে ইডি। বেলা ১২ টা ৩০ নাগাদ তিনি  সিজিও কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছন । ইডি সূত্রে খবর, রুজিরাকে ( Rujira Banerjee ) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির অফিস থেকে এসেছেন আধিকারিকরা। অভিষেক-পত্নীর জন্য ৩ পাতার প্রশ্নমালা তৈরি করা হয় বলে খবর। গত সোমবার দুবাই যাওয়ার পথে, কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয় রুজিরাকে। সূত্রের খবর, অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা তাঁকে জানান, ইডি-র মামলায় লুক আউট সার্কুলার জারি থাকায় বিদেশ যেতে পারবেন না রুজিরা। এরপর বিমানবন্দরেই অভিষেক-পত্নীকে হাজিরার নোটিস ধরায় ইডি।  এই নিয়ে দু’বার ইডি-র ( ED ) মুখোমুখি হচ্ছেন রুজিরা।


পুরসভায় CBI তল্লাশি


বিভিন্ন পুরসভায় সিবিআই তল্লাশি ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, এর আগেও এই রাজ্যে ১০ থেকে  ১২ জায়গায় হানা হয়েছে। সারা দেশে বিভিন্ন সংস্থার দ্বারা এইরকম হানা চলছে । দুর্নীতি চরম জায়গায় পৌঁছেছে সব জায়গায়। বিশেষ করে পশ্চিমবাংলায়। আর সেই দুর্নীতির অভিযোগ লোক আদালতে করছেন। আর আদালত যেভাবে আদেশ দিচ্ছে তদন্ত সংস্থা সেইভাবে কাজ করছে। আমরা জানি চোখের সামনে বছরের পর বছর আমরা দুর্নীতি দেখেছি। সেগুলো সমাধানের একটা রাস্তা বেরিয়েছে। আমার মনে হয় অনেক লোক এর আওতায় আসবে অনেক লোক গ্রেফতার হবে।' 


 'CBI এবার বাথরুমেও যাবে', সিবিআই তদন্তকে কটাক্ষ মমতার, পাল্টা দিলীপ 


'সিবিআই এবার বাথরুমেও যাবে', সিবিআই তদন্তকে কটাক্ষ মমতার। এই প্রসঙ্গে পাল্টা নিশানা দিলীপের। এদিন তিনি বলেন,'  বাথরুম নয়, বেডরুমে ও বাথরুমে দু জায়গায় ঢুকবে যেখানে উনি টাকা লুঠ করে রেখেছেন। এখন এই যে ২ হাজার টাকার নোট দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য করা হচ্ছে এটা কি ধরনের প্রহসন? সামান্য মানবিকতা নেই। সুযোগ পেয়েছেন হাত ধুয়ে নিচ্ছেন। টাকা তো কোথায় আছে আমরা জানি সিবিআই সব জায়গায় পৌঁছাবে। সিবিআই রেল দুর্ঘটনার তদন্ত করলে ওনার কষ্ট, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করলে ওনার কষ্ট, পুরসভার বেআইনি নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করলে ওনার কষ্ট। এত কষ্ট কেন ? আপনি সৎ হলে এত টেনশন নেওয়ার দরকার নেই।' 


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


'১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে যাচ্ছে, দুর্নীতি হলেও এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই কেন করছেন না ?' 


এই ইস্যুতে দিলীপের সংযোজন, 'দুর্নীতিতে রাজনীতির লড়াই করে কী হবে ? আইন অনুযায়ী হয়েছে।  গ্রামোন্নয়নের জন্য যে ধারা আছে তার ২৩ নম্বর ধারায় বলা আছে যদি টাকার অপব্যবহার হয়, তাহলে সরকার তদন্ত করতে পারে। এবং টাকা বন্ধ করতে পারে। এখানে দুটোই হচ্ছে। কোর্ট যেটা করবে সেটাই হবে। সব তথ্য সামনে আসবে। এবার এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এরজন্য ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। যত প্রকল্প চলছে এই রাজ্যে তার টাকা লুঠ হচ্ছে। সাধারণ মানুষ শৌচালয়,ঘর,রেশন পাচ্ছেন না। ১০০ দিনের টাকা, সড়ক যোজনার টাকা লুঠ হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতি গরীব মানুষের হচ্ছে। যে উদ্দেশ্যে টাকা পাঠানো, তা যদি না হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের অধিকার আছে, টাকা বন্ধ করার এবং তদন্ত করার। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ এখানকার এই চোরের দলকে তাড়াবে। সব জায়গায় লুঠের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ৫৬ লক্ষ বাড়ির টাকা এসেছে একটারও কাজ এখনও কমপ্লিট হয়নি। নরেন্দ্র মোদি টাকা পাঠিয়েছে। টাকা পাঠালে হিসাব চাওয়ার অধিকার আছে।'