কলকাতা: গৃহিণী থেকে বিধায়ক হয়েছেন। একসময়ে স্রেফ মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ঘরণী, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের নেমপ্লেটে যোগ হল আরও একটি পরিচিতি। বিধায়ক হওয়ার সাত মাসের মধ্যে শোভনের ছেড়ে যাওয়া ওয়ার্ড থেকে ... ভোটে জিতে কাউন্সিলর হলেন রত্না। এদিনের বিপুল জয়ের পর রত্না বলেন, "আমি ১০ হাজার ২০৬ ভোটে জিতেছি। এই জয় মানুষের জয়। ১৩১ ওয়ার্ডের জয়। উনি (শোভন চট্টোপাধ্যায়) বলেছেন প্রার্থী পছন্দ হয়নি। ওঁর প্রার্থী পছন্দ না হলেও এই ওয়ার্ডের সকলের পছন্দ হয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক ভোটে কেউ জেতেনি এর আগে। বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সময় আমার মেয়েকে বলেছিলেন, আমি দেখে নেব তোমার মা আমাকে ছাড়া কীভাবে স্ট্যান্ড করে। আমি দেখিয়ে দিলাম আমি স্ট্যান্ড করেছি।"
উল্লেখ্য, গত ২০১৫ সালের কলকাতা পুরভোটে এই ওয়ার্ড থেকে ছ’হাজার ২৯৫ ভোটে জিতেছিলেন শোভন। এ বারের পুরভোটে প্রার্থী পছন্দ হয়নি বলে দাবি করে রবিবার ভোটদানও করেননি কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন।
সরকারি ভাবে এখনও ফল ঘোষণা না হলেও কলকাতা পুরসভার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায় দাবি করলেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডে রেকর্ড ভোটে জিতলেন তিনি।
এই বেহালা একসময় পরিচতি ছিল মেয়রের এলাকা বলে। কিন্তু, বেহালার সেই গর্বের দিন গেছে। শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়রের পদ ছেড়েছেন। ছেড়েছেন বেহালাও। তাঁর ছেড়ে যাওয়া ওয়ার্ডে এবার তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন শোভনের ঘরনী রত্না। যাই হোক, প্রাক্তন মেয়রের এলাকার এই তকমাটা ছাড়াও, কলকাতার চোদ্দ নম্বর বরোর আরও বেশ কিছু আকর্ষণ রয়েছে। যেমন--- বেহালা ফ্লাইং ক্লাব, শতাব্দী প্রাচীন সোনার দুর্গা কিংবা সুসজ্জিত পর্ণশ্রী লেক। এই বরোতে সাতটি ওয়ার্ড রয়েছে। বিধানসভা ভোটের ওয়ার্ডভিত্তিক ফলের নিরিখে সবক’টায় লিড পেয়েছিল তৃণমূল।
শোভন চট্টোপাধ্যায় বেহালা বাড়ি ছাড়ার পর থেকে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড দেখছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোটে শোভনের বেহালা পূর্বে রত্নাকে প্রার্থী করে তৃণমূল। প্রথম লড়াইয়েই বাজিমাত করেন তিনি। এবার শোভনের ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে রত্নাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। রাজনীতির পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হলেও, সরাসরি রাজনীতির ময়দানে সম্প্রতি। বিধানসভার পর আবার প্রার্থী। কলকাতা পুরসভার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায় বললেন, এই ওয়ার্ড চারবছর ধরে দেখছি। দিদির মনে হয়েছে রত্নাকে দেওয়া উচিত। চার বছর প্রচুর পরিশ্রম করেছি।