ময়ূখঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : ৫ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও এলগিন রোডের হত্যাকাণ্ডের (Elgin Road Businessman Murder) কিনারা হয়নি। উত্তর ভারতের (North India) পাশাপাশি প্রতিবেশী একাধিক রাজ্যে অভিযান চালিয়েও খোঁজ মেলেনি আততায়ীর (Murderer)। খুনি কে? কী কারণে খুন? তা নিয়ে এখনও ধন্দে লালবাজারের (Lalbazar) দুঁদে গোয়েন্দারা। এই অবস্থায়, গোয়েন্দাদের অনুমান, খুনি সম্ভবত অন্যের নামে সিমকার্ড ব্যবহার করেছে।


গত মঙ্গলবার এলগিন রোডের গেস্ট হাউস থেকে ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ (Kolkata Police) সূত্রে দাবি, বিশাল নামে এক তরুণের সঙ্গে আঙ্কল পরিচয়ে ওই গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন ব্যবসায়ী। রাত দশটা নাগাদ ওই তরুণকে গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। তারপর আর কাউকে সেখানে ঢুকতে দেখা যায়নি। আর মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের দাবি, তাঁরা রাত সোয়া দশটা নাগাদ ভিক্টোরিয়ার কাছে ট্যাক্সিতে এক জনকে মুক্তিপণের ২৫ লক্ষ টাকা দেন।


সূত্রের খবর, খুনের তদন্তে নেমে এখনও কোনও পোক্ত সূত্র পাননি গোয়েন্দারা। ট্যাক্সি চালককে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকী, উত্তর ভারতের পাশাপাশি প্রতিবেশী একাধিক রাজ্যে অভিযান চালিয়েও খোঁজ মেলেনি আততায়ীর। এই অবস্থায়, তদন্তকারীদের অনুমান, খুনি সম্ভবত অন্যের নামে সিমকার্ড ব্যবহার করেছে। তাই তাঁকে সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে।


এদিকে, পুলিশের পোশাকে বাড়িতে এসে তিনতলা থেকে ঠেলে ফেলে দিয়ে যুবককে খুনের অভিযোগ। হাওড়ার আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়ায় উত্তেজনা। মৃতের নাম আনিস খান। পরিবার সূত্রে খবর, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্র রাজনীতি ও বিভিন্ন গণ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন আনিস। দিনতিনেক আগে আমতার বাড়িতে ফেরেন। গতকাল এলাকায় একটি জলসায় যান আনিস। অভিযোগ, সেখান থেকে ফেরার পর, গভীর রাতে চারজন বাড়িতে আসে। এদের মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরেছিল। আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে বাবাকে আটকে রেখে আনিসকে নিয়ে তিনতলায় উঠে যায় বাকি তিনজন। এরপর কাজ মিটে গেছে বলে জানিয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন- পুলিশের পোশাকের আড়ালে দুষ্কৃতী, ছাদ থেকে পড়ুয়াকে ঠেলে ফেলে খুন ছাত্রনেতাকে