হিন্দোল দে, কলকাতা: সিটি সেন্টার ওয়ানে (City Centre 1) যুবকের রহস্যমৃত্যু। মৃত চন্দন মণ্ডল একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ করতেন, আদতে হাওড়ার বাসিন্দা। সল্টলেকের সিটি সেন্টার ওয়ানের ৪ তলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু, পুলিশ সূত্রে খবর। সিটি সেন্টার ওয়ানের নীচ থেকে উদ্ধার হয় দেহ।


সূত্রের খবর, দুপুরেই স্ত্রীকে মেসেজ করেছিলেন চন্দন মণ্ডল। লিখেছিলেন, 'আর চাপ সহ্য করতে পারছি না।' আচমকাই একটি আওয়াজ পান নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরাই এসে দেখতে পান, রাস্তার উপর ওই ব্যক্তি পড়ে রয়েছে। যে সংস্থায় তিনি কাজ করতেন, সেই সংস্থার কয়েকজনও ছুটে আসেন। 


সেই সময় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে, সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। কর্মক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে টানাপড়েন চলছিল বলে বাড়ির লোকের অভিযোগ। তিনি পড়ে যাননি, তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। স্ত্রীর অভিযোগ, অফিসে প্রবল মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন চন্দন। অফিসেরই এক ব্যক্তির নাম করেও অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী। কখন পড়লেন, কীভাবে পড়লেন। মানসিক চাপ ছিল না কি কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছে সেই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় মানুষজন, প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ শুনে আপাতত প্রাথমিক তদন্ত করছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগও শোনা হচ্ছে বলে দাবি।


মৃতের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল বলেন, 'বারবার বলছিল আর ভাল্লাগছে না। আমি বললাম ক্লিয়ারলি বল কী হয়েছে সেটা বল? তোমাকে কি চাকরি ছেড়ে দিতে বলেছে। ও বলল ধরে নাও সেরকমই কিছু। আমি বললাম কিছু হবে না। অন্য অপশন পেয়ে যাবে। আমি বারবার বললাম তুমি বাড়ি চলে আস। বারবার বললাম। তুমি বাড়ি আস, সব ঠিক হয়ে যাবে। তখন ও বলল ২ মিনিটে ফোন করছে।' তারপরেই স্ত্রীকে একটি মেসেজ পাঠান চন্দন। স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে তিনি লেখেন, 'আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি আর আমাদের ফ্যামিলি মেন্টেন করতে পারলাম না। সরি।' মৃতের স্ত্রী বলেন, 'তারপর আমি ফোন করছি ফোন তুলছে না। মেসেজের রিপ্লাই না। একবার কেউ ফোন তুলল, তখন অনেকের গলা শুনলাম। আমি তখন আমার মাকে ফোন করি। ওরাই তারপর ফোন করে। তখন কেউ বলে পড়ে গেছে। হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। আপনারা আসুন।'


আরও পড়ুন: দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল, অনুপমের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জোর জল্পনা, কার দিকে ইঙ্গিত!