কলকাতা:   ইডির নজরে বলাগড়ে 'বাদশা' শান্তনুর (Santanu Banerjee) আরেক ঘনিষ্ঠ। ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে ধৃত শান্তনুর ঘনিষ্ঠ নিলয় মালির হাজিরা।' নিলয়ের নামেও জমি কেনেন শান্তনু, থাকতেন বলাগড়ের গেস্ট হাউসে, দাবি ইডি সূত্রে। নিয়োগ-দুর্নীতির টাকাতেই কি নিলয়ের নামে জমি কেনেন শান্তনু ? সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শান্তনু-ঘনিষ্ঠ নিলয় মালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চায় ইডি (ED)।


সম্প্রতি তৃণমূলের মুখপাত্র ও রাজ্যে নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা বলেছেন, 'দল কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আপস করে না। আমাদের কোনও পদাধিকারী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা তাঁদের আত্মীয় যদি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকে, তার বিরুদ্ধে আমরা অতীতেও কড়া ব্যবস্থা নিয়েছি।  তিনি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় হোন বা হালের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ বা কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাসপেন্ড রয়েছেন, কুন্তল ও শান্তনু দুজনেই অপসারিত হয়েছেন।'


তবে একই সঙ্গে কর্নাটকের কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গও টেনেছিলেন তিনি। জানান, সেখানে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তার জন্য সেখানকার শাসকদল বিজেপি লড়াই করছে যাতে তাদের বিধায়কদের জামিন দেওয়া যায়। তৃণমূলের সঙ্গে এখানেই তফাৎ বিজেপির, মনে করেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা। তাঁর কথায়, 'বিজেপির যে নেতারা এ রাজ্যেও হুমকি-হুঁশিয়ারি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ করে না। শুভেন্দু অধিকারীর উদাহরণ দিয়ে তো বললামই।' একই সঙ্গে দিলীপ ঘোষের কথাও টানেন শশী পাঁজা। 


গ্রেফতারির ৫দিনের মাথায় বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল। তাঁর আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। তাঁকেও অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় জোড়াফুল শিবির। নির্দিষ্ট করে বললে কুন্তলকে গ্রেফতারির ৫২দিনের মাথায় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় দল। সম্পত্তির পাহাড় তৈরি করেছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। হুগলি জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন, পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরে পুজো দিলেন মমতা


জানা যায়, চাকরি-বিক্রিতে দলীয় যোগ রয়েছে বলে জেরায় স্বীকারও করে নিয়েছেন ওই যুব তৃণমূল নেতা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, জেরায় শান্তনু দাবি করেছেন, চাকরিপ্রার্থী ছাড়াও অনেক তৃণমূল সদস্য চাকরি পেতে তাঁদের নথি পৌঁছে দিয়েছেন তৃণমূল নেতাদের কাছে। কাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল নথি? শান্তনুকে জেরা করে তারই হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছেন ইডি-র তদন্তকারীরা।